পশ্চিমবঙ্গ সরকার অর্থাৎ রাজ্য সরকার তার রাজ্য কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা 3% বাড়িয়েছে। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন, যার পরিমাণ ৩.৩৯ লক্ষ কোটি। এই পদক্ষেপটি রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভের পরে এসেছে যাঁরা তাঁদের মুলতুবি মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবি করেছে।
ঘোষণাটি লোকসভায় একটি বিতর্কের পরে ঠিক হয় যেখানে বিজেপি এবং টিএমসি এমপিরা মুলতুবি মহার্ঘ ভাতা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান এই বিষয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, জানিয়েছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা অনশনে রয়েছেন এবং তাদের মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে, কেন্দ্র অদূর ভবিষ্যতে এক কোটিরও বেশি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা প্রায় ৪% বৃদ্ধি করতে পারে। এই বৃদ্ধি মহার্ঘ ভাতা ৩৮% থেকে ৪২% এ নিয়ে আসবে। কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা গণনা করা হয় শিল্প শ্রমিকদের জন্য সর্বশেষ ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI-IW), যা শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা শ্রম ব্যুরো দ্বারা মাসিক প্রকাশিত হয়।
মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি ছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের বাজেটে দুই বছরের জন্য চা বাগানের উপর কৃষি আয়কর মওকুফ এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। চলমান ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাজ্যের জিডিপি ৮.৪% এবং শিল্প ৭.৮% হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী ২ লক্ষ তরুণ উদ্যোক্তাকে পাঁচ লক্ষ পর্যন্ত ঋণ প্রদানের জন্য তিনশো পঞ্চাশ কোটি তহবিল তৈরির ঘোষণাও করেছেন। এছাড়াও অতিরিক্তভাবে, বাজেটে খামারগুলিতে সরবরাহ করা সেচের জলের চার্জ সম্পূর্ণ মওকুফ এবং তিন হাজার কোটি ব্যয়ে ১১,৫০০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্বাভবিকভাবেই রাজ্যের এই ঘোষণার পরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে কর্মচারীদের মধ্যে। কেউ কেউ খুশি হচ্ছেন আবার বেশিরভাগই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অখুশি। এখন রাজ্য আবার পরের ডিএ কবে বাড়ায় সেই নিয়েই অপেক্ষারত সবাই।