‘এক্টিভিটি লার্নিং’ অথবা ‘সক্রিয় শিক্ষা’ হলো শিক্ষার এমন একটি পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে বা অভিজ্ঞতামূলকভাবে শেখার প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সক্রিয়তার ওপর নির্ভর করে সক্রিয় শিক্ষার কিছু ভাগ রয়েছে। ‘বনওয়েল’ ও ‘আইসন'(Bonwell and Eison) বলেছেন যে, “ছাত্ররা যখন শোনার পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে কিছু করে তখন তারা সক্রিয় শিক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে, ‘হানসন’ এবং ‘মোসর’ (Hanson and Moser) এর মতে, “শ্রেণীকক্ষে সক্রিয় শিক্ষাদানের কৌশল ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের জন্য আরো ভালো একাডেমিক (Academic)ফলাফল তৈরি করে।
শিক্ষকের মৌলিক (Fundamental) কাজ হলো শিক্ষার্থীদের বইয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি হাতেকলমেও সেটার শিক্ষাদান করা। তবেই শিক্ষার্থী ভালোভাবে সবটা শিখতে ও বুঝতে পারবে। আরো বেশি আগ্রহী হবে শিক্ষার প্রতি।
‘সক্রিয় শিক্ষা'(Activity Learning) শব্দটি অবশ্যই নতুন নয়। বর্তমান সময়ে মহাবিদ্যালয় (College) গুলির মধ্যে এটি সাধারণ হয়ে উঠেছে। ফলস্বরূপ ভবিষ্যতে এই বিষয়ে গবেষণার এক অসাধারণ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গবেষক ও শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে এর সম্পর্কে মত প্রকাশ করেছেন। সংক্ষেপে সবার বক্তব্য এটাই যে, সক্রিয় শিক্ষা (Activity Learning)হলো এমন এক প্রক্রিয়া যার সাহায্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে পড়ার আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পাবে তাই নয় বরং তারা কি পড়ছে সেটা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবে। শেখার কার্যক্রম (Learning Activity) শিক্ষার্থীদের শেখার ও যোগাযোগ বাড়ানোর কাজে সাহায্য করবে। এর ফলে তাদের চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও অগ্রগতি (Progression) লাভ করবে জীবনে সব ক্ষেত্রেই!
অর্থাৎ, বোঝা গেলো যে জীবনে সাফল্যের ক্ষেত্রে এই সক্রিয় শিক্ষা (Activity Learning) কতটা গুরুত্ব রাখে। শুধু শিক্ষক নন, আমাদের সবার বাড়িতেও এই সুব্যবস্থা আগামী দিনে অবশ্যই রাখা উচিত। শিশুদের থেকেই শুরু করেছেন শিক্ষকেরা একদম শিশু শ্রেণী থেকে এবার আপনারাও এগিয়ে আসুন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর এক পথ প্রশস্ত করার কাজে এগিয়ে যাই!