আমাদের নিত্য দিনের একটি ভীষণ প্রয়োজনীয় উপাদান লেবু। একাধিক উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ লেবু আমাদের ত্বক থেকে চুলসহ, শারীরিক বিভিন্ন কার্য কলাপে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ত সঞ্চালন, এমন অনেক ক্ষেত্রেই লেবুর উপকারিতার জুড়ি মেলা ভার। শুধু খাদ্য হিসেবে নয়, অন্যান্য ব্যবহারিক প্রয়োগে লেবু অদ্বিতীয়!
জানেন কি, গায়ে দুর্গন্ধ হোক বা ত্বক উজ্জ্বল রাখা, চানের সময় এক টুকরো লেবু ব্যবহার করলে পাওয়া যায় কত রকম উপকার! জানেন না? তবে আসুন, জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
স্নানের সময় এক বালতি অথবা এক মগ জলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিন। সেই জল গায়ে ঢাললে যেমন লেবুর এক মনোরম, মৃদু সুবাসে চারিদিক ম ম করবে, তেমনই শরীর থাকবে তরতাজা। এছাড়াও লেবুর রস জলে মিশিয়ে চান করলে, মাথার চাপও অনেক কমে।
লেবুতে থাকে ভিটামিন সি। স্নানের জলে লেবুর রস দিলে, আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল। ধুলো বালির মত বাইরের বিভিন্ন প্রতিকূলতা থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করবে লেবুর রস মিশ্রীত জল। তবে মনে রাখবেন, লেবুর রসের অত্যধিক ব্যবহারে হতে পারে হিতে বিপরীত। লেবুতে যেহেতু অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তাই পরিমাণের তুলনায় অত্যধিক প্রয়োগ করলে ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।
ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য লেবুর আরও অনেক ভূমিকা আছে যেমন লেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকার দরুন এটি ত্বককে কালো দাগ থেকে রক্ষা করে ত্বককে। লেবুর জন্য জন্য ত্বক মসৃণতা লাভ করে।
স্নানের জলে অল্প একটু লেবুর রস ব্যবহার করলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। তাই আপনার মনও ফুরফুরে থাকবে।
লেবু শরীরকে ডিটক্সিফিকেশন করে। লেবু খাওয়াও যেমন উপকারী, তেমন লেবুর রস স্নানের জলে মিশিয়ে স্নান করলেও উপকার পাওয়া যায়।
স্নানের সময় ভিজে চুলের স্কাল্পে ভালো করে লেবুর রোজ ঘষে দিলে পাবেন সমুহ উপকারিতা। এর ফলে চুলের খুশকির সমস্যা দূর হবে, এবং শ্যাম্পুর পর স্নানের জলে লেবুর রস দিয়ে চুল ধুলে চুল সিল্কি হয়ে ওঠে।
এছাড়া গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে স্নান করলে সেই জলের ঘ্রাণ আপনার রক্ত সঞ্চালনের গতি প্রবাহকে বিশেষ সক্রিয় ভাবে চালন করে। ফলে রক্ত প্রবাহ ভালো হয়। শুনলে অবাক হবেন, এই ঘ্রাণ আপনার শ্বাসযন্ত্রের জন্যও বেশ উপকারী। এই লেবুর ঘ্রাণ আপনার শ্বাসযন্ত্রকে স্বাস্থ্যবান করে তুলবে।