Aditi Munshi : সন্তানকে অদিতি মুন্সির কাছে গান শেখাতে চান? সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় জেনে নিন বিশদে।

বাংলার রিয়্যালিটি শো ‘Sa Re Ga Ma Pa’ থেকে আমরা পরিচিত হই মিষ্টি মেয়ে, মিষ্টি কির্তনিয়া অদিতি মুন্সির। বর্তমানে কে না চেনে তাঁকে? তাঁর কীর্তনের সুরে বিভোর হয়েছিলাম সকলেই। অদিতির ব্যাপারে জানা যায় যে তিনি ছেলেবেলা থেকেই গানবাজনার পরিবেশে বড় হয়েছেন।

তাঁর মা মিতালি মুন্সি গানের জন্য প্যাশনেট। বাবা মনীন্দ্র মুন্সি পেশায় ব্যবসায়ী হলেও, গানের প্রতি অমোঘ টান ছিল তাঁর। মায়ের হারমোনিয়াম বাজিয়ে গানবাজনা শুরু করেছিলেন অদিতি। আজ সফল সংগীত শিল্পী তিনি। সম্প্রতি করেছেন বিয়েও। চুটিয়ে সংসার করছেন তবে সঙ্গীতচর্চা থেমে নেই। নিজের সংগীতম কালচারাল অ্যাকাডেমিতে গান শেখাচ্ছেন আট থেকে আশির ছাত্রছাত্রীদের। কী ভাবে ভর্তি হওয়া যায় অদিতির অ্যাকাডেমিতে? কতই বা খরচ? জেনে নেওয়া যাক।

এই সময় ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে অদিতি মুন্সি বলেন, ‘সংগীতম আমার স্বপ্নের জায়গা। এখন সেটা আস্তে আস্তে বড় হয়েছে। একটা হাউজে কনভার্ট হয়েছে সংগীতম। যেখানে অ্যাকাডেমিক ও প্রোডাকশন সেকশন রয়েছে। অ্যাকাডেমিক পার্টে আমরা চার বছর থেকে অ্যাডমিশন করাই। বেসিক থেকে প্রফেশনাল ট্রেনিং দেওয়া হয় সেখানে।’

তাঁর সংযোজন, ‘আমরা সবসময় মানুষকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। অনেক মায়েদের হয়ত গান শেখার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু, ঘটনাচক্রে শেখা হয়ে ওঠেনি। অথবা অতীতে গানবাজনা শিখতেন অনেকে। সংসারিক চাপে শিক্ষা পূর্ণ হয়নি। তাঁদের জন্য একটা ক্লাস রাখা হয়েছে। যেখানে এসে তাঁরা মনের মতো করে গানবাজনা করতে পারেন। সুরেলা সময় কাটান।’

অদিতি আরও বলেন, ‘যে ছেলেমেয়েদের প্রতিভা রয়েছে, অথচ গান শেখার খরচ বহন করতে পারে না, তাদেরও গান শেখানোর ব্যবস্থা করা হয় সংগীতমে। ওয়ার্কশপ করানোর পর সার্টিফিকেট দেওয়া হয় সকলকে।’

কী ভাবে ভর্তি হওয়া যায় সংগীতমে?

সংগীতশিল্পী জানান, প্রথমে Sangitam Cultural Academy-এর অফিসিয়াল ফোন নম্বরে (৯০৭৩২৮৫৮৪১) যোগাযোগ করতে হয়। দুপুর ১২টা থেকে রাত ন’টা অবধি খোলা থাকে ওই নম্বর। উক্ত সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করলে একটি অনলাইন ফর্মের লিঙ্ক পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট নম্বরে। সেই ফর্ম ফিলআপ করে পাঠানোর পাশাপাশি যিনি গান শিখতে চান বা যাকে গান শেখাতে চান তাঁর এক মিনিটের অডিয়ো এবং ভিডিয়ো সাবমিট করতে হয়। যেটা দেখে ফাইনাল সিলেকশন হয়। এ প্রসঙ্গে অদিতি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে রাজ্যের বাইরের অনেক মানুষও যুক্ত হতে চান। তাই অনলাইন ফর্মের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, সংগীতমে অনলাইন ক্লাসও হয়।

কত টাকা খরচ হয় অদিতির অ্যাকাডেমিতে ভর্তির জন্য?

Aditi Munshi-র উত্তর, ‘খুবই কম খরচ। একটা নমিন্যাল চার্জ দিতে হয়। আমাদের অ্যাডমিশনের একটা প্রসেস আছে। সিলেকশনের পর টাকার ব্যাপার আসে।’ যদিও প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও, যারা গান শিখতে পারে না, সেইসব শিশুদের জন্য বিশেষ ক্লাসের বন্দোবস্ত আছে সংগীতমে।

সংগীতম প্রোডাকশন হাউজ সম্পর্কে অদিতি জানান, বাংলার বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে কাজ করে এই সংস্থা। তাঁর কথায়, ‘শিল্পীদের মানুষের কাছে আরও একটু বেশি করে পৌঁছে দেওয়া হয় আরকি। সংগীতমের তরফ থেকে প্রতি বছর একটি অনুষ্ঠান হয়, যেখানে বাংলার প্রায় সমস্ত শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সংগীতমের ছাত্রছাত্রীরাও গান গাওয়ার সুযোগ পায় সেখানে। নতুন এবং পুরনো প্রজন্মকে এক করি আমরা। এ বছর ৩ সেপ্টেম্বর ওই অনুষ্ঠান রয়েছে। আমরা সবসময় ইউনিক কিছু করার চেষ্টা করি।’

তাহলে আর দেরি কেনো? ইচ্ছুক হয়ে থাকলে এখুনি নিজের সন্তানকে ভর্তি করে দিন অদিতির কাছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *