এখন চলছে ফুটবলের বিশ্বকাপ। সকলের উন্মাদনা সেই নিয়ে তুঙ্গে! নিজের নিজের পছন্দের দলের জন্য প্রার্থনা করতে দেখা যাচ্ছে মানুষজনকে। এদিন ছিলো ফাইনালে ওঠার জন্য আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই আর্জেন্টিনার জয়ের জন্য প্রার্থনা করছিলেন বেশি মানুষ এবং আর্জেন্টিনা এত মানুষের প্রার্থনাকে বিফলে যেতে দেয়নি। ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া আর্জেন্টিনা ২০১৪ সালের পর আবার সুযোগ পাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ‘ফুটবলের ঈশ্বর’ অর্থাৎ ‘মেসি’র হাত থুড়ি পায়ের জোরে!
এদিন ফাইনালে ওঠার ম্যাচে ফুটবলের লড়াই চলাকালীন আর্জেন্টিনার ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া! বরং ম্যাচের ৬৯ মিনিটের মধ্যে তিনগোল ক্রোয়েশিয়াকে খাইয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের মিষ্টি প্রতিশোধ তুলে নেয় মেসির দল।
ম্যাচে বিরতির পর জোড়া পরিবর্তন নিয়ে খেলার মাঠে নামে ক্রোয়েশিয়া। সোসার বদলি হিসেবে নামানো হয় ওরসিচকে এবং পাসালিচের পরিবর্তে নামেন ড্লাসিচ। বলা বাহুল্য যে এতেও বদলায়নি তাঁদের ভাগ্য! একইরকম আক্রমণাত্মক ভাবে খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও। ৪৯ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোলের জন্য শট নেন লিয়ান্দ্র পারেদেস। মাঠের সবার বাধা টপকাতে পারলেও তার গোলটি আটকে দেন গোলপোস্টে থাকা লিভাকোভিচ।
ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখতে হয় নিকোলাস ওতামেন্দিকে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে পেরিসিচের নেওয়া ফ্রি কিক সরাসরি চলে যায় এমিলিয়ানোর কাছে। তিনমিনিট পর হুলিয়ান আলভারেজকে তুলে পাউলো দিবালাকে নামান স্ক্যালোনি। ৮৫ মিনিটে গোল দিতে অসমর্থ হয়ে দলকে হতাশ করেন লোভরেন এবং তাতে ৩-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মদ্রিচদের।
আগামী ১৮ই ডিসেম্বর ফুলবলের বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষ হিসেবে দেখা যাবে ফ্রান্স ও মরক্কোর মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দলকে। এবার কার মাথায় উঠবে ‘শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট’ সেটাই দেখার অপেক্ষামাত্র।