বর্তমানে সভ্যতা যত এগোচ্ছে, তার সাথে উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। বর্তমানে CHATGPT আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স লঞ্চ হবার পর থেকেই মানুষের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কৌতূহল বেড়েছে। বিজ্ঞানীরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে মানবকল্যাণে ব্যবহার করার।
সম্প্রতি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স খবর সঞ্চালক। ওড়িশার একটি টিভি চ্যানেলে একজন সঞ্চালিকাকে নিউজ পড়তে দেখা গিয়েছে। অত্যন্ত সুন্দরী এই মহিলা একদম ঝরঝরে ইংরেজি পড়ছেন খবর চ্যানেলে। তবে আসল সত্যটা সামনে আসতে হতবাক সমস্ত ইন্টারনেট দুনিয়া।
জানা গিয়েছে যে, ওড়িশার এই নিউজ চ্যানেলে যিনি খবর পড়ছিলেন তিনি আদতে কোন মানুষ নন বরঞ্চ একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। কম্পিউটার অ্যালগরিদম এর সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টিকে।
সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন যে তারা এই নতুন আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সটির নাম দিয়েছেন লিসা। লিসা একদম ঝরঝরে ইংরেজি এবং ওড়িয়া ভাষা পড়তে পারে। তবে সংস্থার তরফ থেকে লিসাকে উড়িয়া ভাষায় আরো দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তারই সাথে ইন্টারনেট দুনিয়ার সকলের মনে তৈরি হয়েছে সংশয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যদি এত বুদ্ধিমান হতে পারে, তাহলে খুব শীঘ্রই চাকরি হারাতে পারেন একাধিক কর্মীরা। নিউজ চ্যানেলের একাধিক কর্মীরাও রয়েছেন এই চাকরি হারাদের তালিকায়।
আপাতত ভারতের প্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সঞ্চালিকা হিসেবে দেখা গিয়েছে লিসাকে। গত রবিবার উড়িষ্যার একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের চ্যানেলে খবর পড়তে দেখা গিয়েছে লিসাকে। কোনভাবেই দেখে বোঝার উপায় নেই যে তিনি কোন মানুষ নয়।
বর্তমানে ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে মানুষের চর্চা বেড়ে গেছে অনেকটাই। উচ্চ মাধ্যমিক পাঠক্রম থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা স্তরে ও সিলেবাস এর মধ্যে আনা হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আশা করা যাচ্ছে যে অচিরেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিক্ষা ক্ষেত্রে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে।