২০১২ সালে ছোট্ট মত একটি মিষ্টি মেয়ে হৃদয় জিতে নিয়েছিল আপামর ভারতবাসীর। ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ দিয়ে শুরু হয় তাঁর পথ চলা। তারপর ‘হাইওয়ে’, ‘উড়তা পাঞ্জাব’, ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’, ‘লাভ ইউ জিন্দেগি’ দিয়ে উঠতে থাকে তাঁর কেরিয়ারের গ্রাফ। মহেশ ভাটের কন্যা হয়েও, স্বজনপোষণের ধার ধারেননি, পদে পদে প্রমাণ করেছেন নিজের যোগ্যতা। যোগ্যতা দিয়ে হয়ে উঠেছেন বলিউডের ‘গাঙ্গুবাই’, অনায়াসে প্রতিপক্ষকে জানান দিতে পেরেছেন, ‘তেরি কুরসী তো গেয়ী…’।
তিনি, আলিয়া ভাট। দশ বছর ধরে একই রকম ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলি সাম্রাজ্য। চলতি বছরেই বিবাহবন্ধনে আটকা পড়েছেন রণবীর কাপুরের সঙ্গে। এখন আবার তিনি হবু মা।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর মাস কয়েক আগে মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। এক সাক্ষাৎকারে ছবির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আলিয়া জানান, কোনও দিন তিনি কোনও রকম তাঁকে নিয়ে করা মন্তব্য পড়েননি। সে ভালো হোক কি মন্দ। পড়তে চান না বলেই পড়েন না, এমন নয়। আসলে পড়া হয়ে ওঠে না। কারণ সামনা সামনিই দর্শকের মনোভাব প্রত্যক্ষ করতে পেরে তিনি যতটা প্রভাবিত হয়ে পড়েন, লেখা মন্তব্যে তাই আর কোনও ভূমিকা থাকে না। তিনি সরাসরি দর্শকের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন তাঁর অভিনীত ছবি কতটা মন ছুঁয়ে যাচ্ছে বা যায়নি। তিনি এও জানিয়েছেন যে অনেকেই আছেন যাঁরা রিভিউ পড়তে ভালোবাসেন, কিন্তু আলিয়া সবার আগে দর্শকের সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনেই বিশ্বাসী।