চলছে অম্বুবাচী। মানুষের বিশ্বাস যে, এই সময় ঋতুমতী হন মাতা বসুন্ধরা। সেই উপলক্ষ্যে নানা ধরনের নিয়মের সাথে উৎসব পালিত হয় দেশ জুড়ে। বিশেষত অসমের কামাখ্যা মন্দিরে এই উপলক্ষে আয়োজিত হয় মেলা। এই অম্বুবাচীকে ঘিরে কথিত আছে বহু কাহিনী। জেনে নেওয়া যাক সেগুলি সব।
কাহিনী ১:
প্রাচীন ভারতের প্রাগজ্যোতিষপুরই হলেন আজকের কামাখ্যা। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এই তিন দেবের শিখরের ওপর দেবী কামাখ্যার অধিষ্ঠান। গোটা নীলাচল পর্বতজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে দশমহাবিদ্যার মন্দির।
আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পদ শেষ হলে মাসের চতুর্থ পদে পড়লেই শুরু হয় অম্বুবাচী। তিনদিন চলে সেই পর্যায়। আগামী ২৫ জুন অবধি চলবে এই পর্যায়।
কাহিনী ২:
কামাখ্যা মন্দিরের মূল ফটক এই সময় বন্ধ থাকে। দেবীর কোনো পুজো হয় না। কথিত আছে, এই সময় মন্দিরের দরজা নিজে থেকেই বন্ধ হয় এবং দরজার তলা থেকে নিঃসৃত হয় লাল তরল।
এই সময় দেবীর মন্দির বন্ধ থাকে। আর সকলে মন্দির ঘিরে কীর্তন করেন। এরপর চতুর্থ দিনে এই পর্যায় শেষ হলে মন্দির নিজে থেকেই খুলে যায়। রক্তবস্ত্র আশীর্বাদ হিসেবে মেলে। ভক্তদের বিশ্বাস যে এই কাপড় গ্রহণ করলে মনের সব আশাপূর্ণ হয়।
কাহিনী ৩:
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সময় তন্ত্র-মন্ত্র সাধকরা আসেন অম্বুবাচী মেলায়। মন্দিরের ফটক নিজে থেকেই বন্ধ হয় এই কথা তো আগেই বললাম। মা হন রজস্বলা।
ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে একটি তরলে ভেজা কাপড় দেওয়া হয়। এই কাপড় পেলে নাকি সব সুবাসনা পূর্ণ হয়।