সাল ১৯৭১। দেশ তখন উত্তাল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। বাংলার বুক জুড়েও জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। কিন্তু তা বলে কি বিনোদন থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা যায়! শহরের এক নামী প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত হচ্ছে একটি নাটক। আকস্মিক এক গোলযোগে স্তব্ধ হয়ে গেল পারিপার্শ্বিকতা। খুন হলেন জনৈক ব্যাক্তি! তারপর? কিভাবে উদঘাটিত হবে তাঁর মৃত্যুর রহস্য! তারই সত্যান্বেষণ করবেন, শ্রী বোমকেশ বক্সী। আসলে এটি হল শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘বিশুপাল বধ’ গল্পের পটভূমি।
চার বছর পর আবীর চ্যাটার্জী ফিরছেন ‘বোমকেশ’রূপে। অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘বিশুপাল বধ’ গল্পটি রুপোলি পর্দায় প্রাণ পেতে আসছে ‘বোমকেশ হত্যামঞ্চ’ আকারে । যদিও গল্প হিসেবে এটিকে লেখক অসম্পূর্ণ রেখে গেছিলেন। পরিচালক মশাই পর্দায় সেই গল্পের সম্পূর্ণতা দান করবেন।
বরাবরের মত বোমকেশ-ঘরনী সত্যবতীর ভূমিকায় রয়েছেন সোহিনী সরকার। পাওলি দাম রয়েছেন এক বিশেষ চরিত্রে। এছাড়া রয়েছেন অর্ণ মুখার্জী, কিঞ্জল নন্দের মত প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্বও। ছবিটি মুক্তি পাবে চলতি মাসেই। শরদিন্দু বাবুর অসম্পূর্ণ গল্পকে পর্দায় সম্পূর্ন হতে দেখার জন্য বোমকেশ-প্রেমীরা উৎসুক হয়ে আছেন। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। দেখা যাক বড় পর্দায় ‘ বোমকেশ হত্যামঞ্চ’ কতটা জমে উঠতে পারে!