এই সময় আমরা যত ডিজিটাল হচ্ছি, তার সাথে বাড়ছে বিভিন্ন রকম ডিজিটাল প্রতারণা চক্র। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রতারনা চক্র সামনে এসেছে যার মধ্যে এটি একদম নতুন। অন্যান্য অনলাইন প্রতারণার ক্ষেত্রে দেখা যায় শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা, তবে এইবার জালিয়াতদের শিকার হচ্ছেন শুধুমাত্র শহরের অ্যাপ নির্ভর ওলা এবং উবের এর ড্রাইভাররা।
প্রথমে অনলাইন এর মাধ্যমে কোন ওলা বা উবের বুক করা হচ্ছে, তারপর ড্রাইভার কল করলে বলা হচ্ছে একটু তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছাতে এবং সেই ব্যক্তি ওই চালককে অগ্রিম অনলাইনে পেমেন্ট করে দিচ্ছেন। তারপর বলা হচ্ছে ভুল করে নির্ধারিত ভাড়া থেকে বেশি ভাড়া চলে গিয়েছে, সেই অতিরিক্ত ভাড়াটি আবার অনলাইনের মাধ্যমে ফেরত দিয়ে দিতে। আর সরল বিশ্বাসে ড্রাইভাররা সেই অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দিতে গিয়েই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
কিছুদিন আগে একজন ড্রাইভারদের গাড়ি এমন ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে বুক করা হয়। তারপর অপরপ্রান্ত থেকে ফোন করে বলা হয় যে তিনি অন্য একজন ব্যক্তির জন্য রাইডটি বুক করেছেন এবং তিনি অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করবেন। সেই মতে তিনি প্রথমে ১ টাকা পেমেন্ট করার কথা বলেন এবং ড্রাইভারকে চেক করতে বলেন তার একাউন্টে এক টাকা ঢুকেছে কিনা। ড্রাইভার তার মেসেজ চেক করে দেখেন এক টাকা ঢুকেছে। এরপর ওই ব্যক্তি ৪০০০ টাকা পাঠিয়ে দিয়ে পুনরায় ফোন করে বলেন যে ভুল করে ৪৫ টাকার বদলে চার হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন, বাকি টাকা তাকে অনলাইনের মাধ্যমে ফেরত দিয়ে দিতে। ড্রাইভার তখন জানান যে তিনি ব্যাংক একাউন্ট চেক করে তারপরেই টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু সেই মুহূর্তেই অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি ফোন কেটে দেন।
পরবর্তীকালে ওই ড্রাইভার তার মেসেজ চেক করে দেখেন যে ১ টাকা এবং ৪০০০ টাকা ঢোকার দুটি মেসেজই এসেছে কোন পার্সোনাল নম্বর থেকে. কোন ব্যাংকের নম্বর থেকে এই মেসেজগুলি আসেনি। অ্যাপ নির্ভর ড্রাইভাররা সাধারণত ব্যস্ততার মধ্যে থাকার কারণে মেসেজ ভালোভাবে চেক করার সময় পায় না। এই জন্য সাইবার প্রতারণার নতুন শিকার হচ্ছেন তারাই।
পুলিশ এবং অন্যান্য সাইবার মহল থেকে সচেতন করা হচ্ছে যাতে যে কোন গ্রাহক এমন ভুয়ো মেসেজের ফাঁদে না পড়েন এবং অবশ্যই ব্যাংক স্টেটমেন্ট চেক করার পরেই টাকা ঢোকার ব্যাপারটি সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হন।