গ্রীষ্মকাল মানেই আমের মরসুম। গাছে গাছে পাকা আম ঝুলছে আর সেই আম মুখে পুরে আহা! কিন্তু আজকাল আমেও ভেজাল থাকে অর্থাৎ গাছপাকা নয় বরং কার্বাইড প্রয়োগ করে আম পাকানো চলছে। সেই রাসায়নিক মেশানো আম খাচ্ছি আমরা সবাই। ফলস্বরূপ হচ্ছে শরীর খারাপ। তাহলে এখন উপায়? বুঝবেন কি করে যে আপনি যে আম কিনলেন তা গাছ পাকা নাকি কার্বাইড দিয়ে পাকানো? উপায় আছে। কি সেই উপায়? আসুন জানা যাক।
কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম কিন্তু স্বাদেও বিচ্ছিরি হয়। স্বাদ না গ্রহণ করে বুঝবার উপায় নেই? হ্যাঁ আছে এবং তা হলো আমের বাইরের আস্তরণ। কার্বাইড দিয়ে পাকানো আমের বাইরের আস্তরণ মসৃণ হয়না বরং দাগ-ছোপযুক্ত হয়। তাই মসৃণ আস্তরণের আম দেখে তবেই কিনবেন।
কার্বাইড দিয়ে পাকানো আমে রসের পরিমাণ বেশি থাকে আর আম আকারেও ছোট হয়। অর্থাৎ আপনি যদি দেখেন যে আমের গা থেকে আগেই রস বেরোচ্ছে এবং আমের আকার ছোট তাহলে সেই আম কিনবেন না।
বাজারে আম কিনলেন এবং এই চিহ্নগুলি কিছুই দেখলেন না। তখন? আম কিনে এনে বাড়িতে ধোবেন নিশ্চই জলে ডুবিয়ে? আম ধোবার পরে যদি দেখেন যে আমগুলো জলে ডুবে গেছে তাহলে বুঝবেন যে আপনার কপালে গাছপাকা আমই জুটেছে আর যদি তা না হয় অর্থাৎ আম যদি জলের ওপরে ভাসতে থাকে তাহলেই বুঝবেন যে আপনি ঠকে গেছেন। তখন আর কি? ফেরত দিয়ে আসুন সেই আম বাজারে।
আরো একটি উপায় আছে। কি বলুন তো? আম টিপে দেখুন। যদি দেখেন যে আমটি কোথাও নরম আর কোথাও শক্ত, তাহলে বুঝবেন আমটি কার্বাইড দিয়ে পাকানো আর যদি আমের সবদিক সমান লাগে তাহলে বুঝবেন আমটি গাছপাকা।