রাতের খাবার খাওয়া মাত্রই বিছানায় গা এলিয়ে দেন? নিজের কতটা ক্ষতি করছেন এভাবে জানেন?

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সারাদিনের পরে রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করেই বিছানায় গা এলিয়ে দিই। সকলেই কম বেশি কিন্তু জানেন যে এর ফলে শরীরে হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে বুক গলা জ্বালা করা, পেটের সমস্যা ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তবুও আমরা শুতে ব্যস্ত হয়ে পরি।

ডাক্তারের মতে, খাবার খাওয়ার পরে ব্যায়াম করা উচিত হালকা কিছু। ব্যায়াম নাহলেও অল্প কিছু সময় হাঁটাচলা করা উচিত। তেমন কিছুনা, ছাদের মধ্যেই অন্তত ১৫-২০ মিনিট হাঁটলেই যথেষ্ট। বদহজমের জন্য তো রোজ গাদা গাদা ওষুধ খাচ্ছেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সামান্য হাঁটাহাটি করলেই যদি অনেক রোগ বশে রাখা যায়, তা হলে ওষুধনির্ভর জীবন বেছে নেবেন কেন?

হাঁটাহাঁটির উপকারীতা কী কী?

১) হজম ভালো হয়:
খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাটি করলে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক জুস ক্ষরণ হয়। ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। পাশাপাশি পেটফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।

২) বিপাকহারে উন্নতি ঘটায়:
বিপাকহার ভাল হলে শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে তার প্রভাব ফেলে। ওজন ঝরানোর জন্যেও বিপাকহার ভাল হওয়া প্রয়োজন। খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাটি না করলে বিপাকহারের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।

৩) প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে ওঠে:
খাওয়ার পর হাঁটাহাটির অভ্যাস করলে হজম ভাল হয়। যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও মজবুত করে তোলে।

৪) অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়:
রাতে যদি ঘুম না আসে, মোবাইলে না ঘেঁটে ছাদে হাঁটাচলা করে হাওয়া খেয়ে আসুন। খোলা আকাশের নীচে, হাওয়ায় একটু হাঁটাহাটি করলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়।

৫) রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে:
রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাটির অভ্যাস করুন। এই অভ্যাস রক্তে থাকা অতিরিক্ত গ্লুকোজ় ভাঙতে সাহায্য করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *