প্রাথমিকে চাকরির জন্য বি.এড প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারেন। জেনে নিন এই কোর্সের খুঁটিনাটি

প্রাথমিকে চাকরির জন্য বি.এড (B.Ed) কোর্সটি যাঁরা পাশ করেছেন তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই কোর্সটিতে শুধুমাত্র স্নাতক (Graduate) বা স্নাতকোত্তর (Post Graduate) ডিগ্রি পাশ করলে তবেই ভর্তি হওয়া সম্ভব। কিভাবে এই কোর্সটি করবেন? কিভাবেই বা পড়াশোনা করবেন সেসবেরই হদিশ দিলাম আপনাদের। বি.এড (B.Ed) হলো প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি দু’বছরের কোর্স।

বি.এড (B.Ed) অর্থাৎ ব্যাচেলর ইন এডুকেশন (Bachelor in Education) কোর্সটি হলো দু’বছরের একটি কোর্স যাতে শিক্ষক হবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কোর্সে ভর্তি হতে গেলে, প্রার্থীদের অবশ্যই হতে হবে ভারতীয় নাগরিক। এছাড়া কোনো একটি স্বীকৃত মহাবিদ্যালয় (College) থেকে স্নাতক স্তরে পাশ করতে হবে ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে। জেনারেল (General) প্রার্থীদের ২১ বছরের কম বয়সী হওয়া যাবেনা এবং সংরক্ষিত (Reserved) ক্যাট্যাগরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা আরেকটু কম হতে পারে।


বি.এড (B.ed) কোর্সটিতে ভর্তি হতে গেলে কী কী নথিপত্র লাগবে ?


লাগবে প্রার্থীর আধার কার্ড (Adhaar Card), প্রার্থীর সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ফটোগ্রাফ, উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট (Higher Secondary Certificate), স্নাতক স্তরের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট (Graduation Marksheet and Certificate), ভারতীয় হিসেবে অন্য কোনো পরিচয় পত্র, ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট (Character Certificate), মহাবিদ্যালয় ছেড়ে দেবার প্রমাণপত্র ( College Leaving Certificate)।

সাধারণত যে বিষয়গুলি বি এড কোর্সে পড়ানো হয়:
এই কোর্সে প্রধানত শিক্ষকতার বিভিন্ন কৌশল, মনস্তাত্ত্বিক (Psychology) বিষয়, শিশুদের মানসিকতা ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানপ্রদান করা হয়। এছাড়াও নিয়মানুবর্তিতা বিষয়েও কঠোরভাবে শেখানো হয়।

বিএড কোর্স কমপ্লিট করে কী ধরণের চাকরি পাওয়া যায়?
বি.এড (B.Ed) কোর্সটি করে প্রাথমিক এবং উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা, সহকারী শিক্ষক, নার্সারি স্কুলের শিক্ষক পদে নিযুক্তি ঘটে।
উপরোক্ত ছোটো অথচ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি মাথায় রাখলে তবেই এই কোর্সে ভর্তি হবেন এবং চাকরির পরীক্ষায় সফল হবেন। আর কোনো চিন্তা নেই আপনার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *