১৮৮৯ সালের, ১১ ফেব্রুয়ারি! পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় জন্ম নেন ছোট পর্দার ‘পুপে’ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। যদিও বাবার কর্মসূত্রে তাঁর শৈশবের বেশিরভাগ পর্যায়েই সাধিত হয়েছে অরুনাচল প্রদেশের তিরাপ জেলার দেওমালি শহরে। কিন্তু বেশিদিন তাঁকে সেখানে থাকতে হয়নি। ফিরে আসেন পৈত্রিক ভিটে জলপাইগুড়িতে। এখানেই হলি চাইল্ড স্কুলে তিনি তাঁর অধ্যবসায় এগিয়ে নিয়ে যান। তারপর মিমির উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন বিন্নাগুড়ির সেন্ট জেমস স্কুলে। বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে, কলকাতায় এসে আশুতোষ কলেজে আর্টস নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
অভিনয়ের জগতে হাতে খড়ি হওয়ার আগে মিমি মডেলিং করতেন। ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন এবং তারপরেই বাংলা টেলি দুনিয়ার জগতে তাঁর প্রবেশ ঘটে। ২০০৯ সালে আকাশ বাংলা (বর্তমানে আকাশ ৮) চ্যানেলে ‘চ্যাম্পিয়ন’ ধারাবাহিকে প্রথম তাঁর অভিষেক হয়। এই সফর তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যায় ‘গানের ওপারে’ র দিকে। স্বয়ং ঋতুপর্ণ ঘোষের স্নেহধন্যা হয়ে ওঠেন সকলের আদরের ‘পুপে’। ‘গানের ওপারে’ র সাফল্যের পর সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে তাঁর সফলতার গ্রাফ। বলা বাহুল্য, শুধু অভিনয়েই নয়, সাংসদ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মিমি, গর্বিত করেছেন তাঁর বাবা এবং মাকে। কিছুদিন আগে বাজেট পেশের দিন, দিল্লির সংসদ ভবনে তাঁদের নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন মিমি। নিজের আত্মজার এ হেন প্রতিষ্ঠিত হওয়া দেখে, যারপরনাই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মিমির জন্মদাতা এবং জন্মদাত্রী।
আজ মিমির ৩৫ তম জন্মদিন। অর্থাৎ ৩৪ বছরে পা দিলেন নায়িকা। আমরা বরাবরই চাই, আমাদের বিশেষ দিনগুলিকে আমাদের সামর্থ মত উদযাপন করতে। ভ্রমনপ্রেমী মিমিও তাই পাড়ি দিয়েছেন তাঁর ‘ড্রিম ডেস্টিনেশন’ প্যারিসে। গোলাপি ফুলের মত ছড়িয়ে চলেছেন তাঁর আভা। তাঁর মুহুর্ত যাপনের অংশীদার করেছেন অনুগামীদের। অভিনেত্রী শ্রাবন্তি চ্যাটার্জীর (Srabanti Chatterjee) থেকে আখ্যা পেয়েছেন ‘পিঙ্ক বিউটি’ হিসেবে। বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে মিমির পরিসর বিস্তৃত হয়েছে বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়েও। আরও নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করবেন, এমনই অঙ্গীকার ‘বার্থডে গার্ল’ এর।