আলুর পরোটা খেতে কে না ভালোবাসে। সকালের ব্রেকফাস্ট করার সময় গরম নরম আলুর পরোটা আর সাথে চাটনি বা আচার বা টক দই! ব্যস! আর কি চাই! কিন্তু এহেন প্রিয় আলুর পরোটা বানানোর ক্ষেত্রে যদি আলুর পুর বেরিয়ে আসে? কতটা মন খারাপ হয়ে যায় বলুন তো? তাহলে কি খাবোনা? অবশ্যই খাবো তবে তার আগে শিখে নেবো বেলার পদ্ধতিটি। তাহলে আসুন শিখে নেওয়া যাক।
১) আলু সেদ্ধ করার পর ভালো করে আলুর গায়ে লেগে থাকা জল শুকিয়ে নিন। পুর যত শুকনো হবে, পরোটা বেলতে ততই সুবিধা হবে। আলু মাখার সময়ে দেখে নিন আলু মাখার মধ্যে কোথাও যেন দলা পেকে না থাকে। আলুর পুরটা বানিয়ে ঘণ্টা খানেকের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন, পুরটা ভাল জমাট হবে। তার পর সেই পুর দিয়ে পরোটা বানিয়ে ফেলুন। পরোটা ঘিয়ে ভাজলে স্বাদ আরও বাড়বে।
২) আলুর মশলা আগে থেকে বানিয়ে রাখলেও নুন কিন্তু পরে দেবেন। নইলে মশলা থেকে জল বেরিয়ে যেতে পারে। কেবল আলুতেই নয়, ময়দা মাখার সময়ে তাতেও নুন দিতে হবে। এতে স্বাদ বেশি ভাল হবে।
৩) ধনেপাতা, পেঁয়াজ এবং কাঁচালঙ্কা যতটা সম্ভব সরু সরু করে কাটবেন। না হলে পরোটা বেলার সময়ে পুর বেরিয়ে আসবে আর বেলতেও সমস্যা হবে। চাইলে আপনি কিমার আকারেও কাটতে পারেন।
৪) যদি বেলার সময়ে পরোটা চাকির সঙ্গে আটকে যায়, তা হলে ঘাবড়ে যাবেন না। সামান্য ময়দা দিলেই এই সমস্যা সমাধান সম্ভব। পরোটা বেলার সময়ে হালকা হাতে চাপ দেবেন, তা হলেই ভিতরের পুর ভাল করে ছড়িয়ে যায়। বেশি চাপ দিলেই পুর বেরিয়ে আসবে।
৫) এর পরেও সমস্যা হলে আলুর পুর আর ময়দা একসঙ্গেই মেখে নিতে পারেন। তাতেও স্বাদ ভালই হবে। নইলে একটা পাতলা পরোটা বেলে তার উপর আলুর মিশ্রণে ছড়িয়ে দিন। এ বার আর একটি পরোটা বেলে আলুর পুরের উপরে দিয়ে চারপাশটা ভাল করে চেপে নিন। এবার ঘিয়ে ভেজে খান গরম নরম তুলতুলে আলুর পরোটা।