দই খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ কম। প্রাতঃরাশ হোক, বা দুপুরের খাওয়া, এক বাটি দই না হলে যেন বাঙালির মনে তৃপ্তির পূর্ণতা আসে না। মিষ্টি হোক বা টক, পাতে দই পেলে আর কী চাই! শুধু স্বাদেই নয়, দই পালন করে আমাদের জীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা। ত্বক থেকে চুল, প্রতিটি ক্ষেত্রেই দই একাই হয়ে ওঠে ‘সেন্টার অফ অ্যাট্রাকশন’!
হজম – ভারী কিছু খাওয়ার পরে অনেক সময়ই দই খেতে নির্দেশ করা হয়। কারণ দইয়ে আছে এমন কিছু উপকারী উপাদান যা হজম সহায়ক। দই শরীরের ক্ষতি করে এমন ব্যাকটেরিয়াকে দূরীকরণ করে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস যেগুলি ক্ষতিকারক বর্জ্য পদার্থ শরীরে জমতে দেয় না। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। হজম শক্তিকে উন্নত করে বলে দই ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
ত্বক – আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ হল ত্বক। ত্বকের যত্ন আমরা সবাই কম বেশি করতে চাই। অনেকেই অনেক রকম টোটকা ব্যাবহার করে থাকি যা সবসময় হাতের কাছে পাওয়া সহজ হয় না। কিন্তু দই একটি সহজলভ্য উপাদান। দই দিয়ে খুব সহজেই আপনি আপনার ত্বকের পরিচর্যা করতে পারবেন। মুখে শুধু টক দই লাগিয়ে, পনেরো কুড়ি মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। তাতেও যেমন লাভ হবে,আবার দইয়ে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে সেই মিশ্রণ মিনিট কুড়ি ধরে মুখে রেখে ধুয়ে ফেললেও উপকার পাওয়া যাবে। সপ্তাহে দু তিনবার প্রয়োগ করলেই উপকার পাবেন।
চুল – দই যেমন এক উন্নত মানের প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার, তেমনই প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। নিত্য দিনের দূষণের ফলে আমাদের চুল তার সহজাত জেল্লা হারিয়ে ফেলে। রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে পড়ে। এমনকী ঝরেও যায়। এই সমস্যা অনেক নির্মূল করতে পারে আপনার বাড়ির ঘরোয়া উপকরণটি। দই দিয়ে সপ্তাহে দু তিনদিন ভালো করে চুলের স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। অথবা ডিমের কুসুম কিংবা লেবুর রস দইয়ের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে সারা মাথা মাখুন। ডিমের কুসুম এবং লেবুর রস দুটিই চুলের জন্য উপকারী। এই উপাদানগুলির সঙ্গে যদি দই হয় দোসর, তাহলে একেবারে জমে যাবে দইকে নিয়ে আপনার দৈনন্দিন যাপন।
[বি দ্রঃ – প্রতিবেদনে আলোচ্য উপায়গুলিই একমাত্র পদ্ধতি নয়। নিজের সঙ্গে কিছু প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ বাঞ্ছনীয়।]