মীর আফসার আলীর কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শোনার অনুরোধ, লেখকের আহ্বানে সাড়া কি দিলেন মীর?

মীর আফসার আলী, বাঙালির কাছে তিনি যেন একজন ‘ম্যাজিশিয়ান’। তাঁর কণ্ঠে, বা হাস্যরসে বাঙালি মজবেন না, এমন হয় না। হাসির যোগান তো তিনি দেনই, সঙ্গে তাঁর কণ্ঠে বাঙালিকে মোহিত করে রাখার অদ্ভুত দৈব ক্ষমতা আছে তাঁর। রেডিও মির্চির সঙ্গে তাঁর সখ্য যাপন ছিল দীর্ঘ সাতাশ বছরের। কিন্তু চলতি বছর জুলাই মাসে তিনি ভক্তদের জানান, তাঁর এই পথ চলা, এখানেই শেষ। রেডিও মির্চির সঙ্গে তাঁর আকস্মিক এই বিচ্ছেদে যেন মানসিক ভাবে অসাড় হয়ে ওঠেন তাঁর ভক্তগণ। কারণ মীরের গলা ছিল এক বিশাল সংখ্যক মানুষের জীবনদায়ী।

সেই মীরের জীবনেই হঠাৎ এলো এক মন ছোঁয়া প্রস্তাব। লেখক তুষার সেনগুপ্ত মহালয়ার দিন, সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানান, তিনি মীরের কণ্ঠে চন্ডীপাঠ শুনতে আগ্রহী। কারণ মীরের কণ্ঠে রয়েছে ভরাট ‘ইমোশান’।


যদিও তিনি অনেক দ্বিধাগ্রস্ত হয়েই তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কারণ মহালয়া মানেই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলার অমোঘ টানে বাঙালি জুড়ে আছে। এছাড়াও এখনও ২০২২ এ দাঁড়িয়ে আমাদের সমাজ জাতি নিয়ে ভাবিত হয়। কারণ মীর মুসলমান। লেখকের এমন আর্জি যে তাই হিন্দুবাদীদের হিন্দুত্বতে আঘাত হানবে, সে সব কিছু জেনেই তিনি মীরকে চন্ডীপাঠের আবেদন করেছেন।

যদিও মীর তো যারপরনাই উচ্ছ্বসিত তুষার সেনগুপ্তের এমন ভাবনার বহিঃপ্রকাশের জন্য। কিন্তু তিনি এও বলেছেন যে তিনি যদি চণ্ডীপাঠ করেন, তাহলে সেটি হবে ‘ধৃষ্টতা’। ওদিকে মীরকে ইন্ধন যুগিয়েছেন তাঁর ভক্তকূল। সকলেই লেখকের আহ্বানে তাঁকে সাড়া দিতে বলেছেন। এমনকি কিছু অনুগামী মীরের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শোনার অপেক্ষাতে থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন।

Mir

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *