“সুপারহিরো” বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক অতিমানবিক শক্তির মুখ। যিনি বিপদের আঁচ পেয়ে, ত্রাতা হয়ে পৌঁছে যান গন্তব্যে। উদ্ধার করেন আক্রান্ত মানুষকে। আচ্ছা, বাস্তবে কি এই “সুপারহিরো”র অস্তিত্ব আছে? অবশ্যই আছে। আর তাঁরা হলেন, “বাবা”। বাবাদের ভূমিকা একজন সন্তানের জীবনে কী, তা কোনও ব্যাখ্যা হয় না। কিন্তু বাবাদের উৎসর্গ করে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার “Father’s Day” হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। জানেন কি, কীভাবে শুরু হয়েছিল এই দিনের উদযাপন?
বিংশ শতকে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় মাইন দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করেন শয়ে শয়ে মানুষ। সেই দুর্ঘটনায় বাবাকে হারিয়ে, গ্রেস গোল্ডেন নামের এক কন্যা ১৯০৮ সালে জুলাই মাসের এক রবিবার ফাদার্স ডে পালনের জন্য প্রস্তাব দেন। বাবার স্মৃতির উদ্দ্যেশ্যে এমন প্রস্তাব, আলোড়ন সৃষ্টি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
অপরদিকে সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক আমেরিকান সৈনিকের কন্যা, শৈশবে মাকে হারায়। তাঁদের পাঁচ ভাইবোনকে একা হাতে মানুষ করেন তাঁদের বাবা উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট। মায়ের অভাব, কখনও বুঝতে দেননি উইলিয়াম। সকলের কাছে মায়েদের ভূমিকার কথা শুনে সনোরা ভাবেন, তাঁর জীবনে যেখানে বাবার ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেখানে বাবাদের জন্যও একটি বিশেষ দিন বরাদ্দ রাখতে হবে। তাই নিজ উদ্যোগে, ১৯১০ সালের ১৯ জুন তিনি প্রথম পিতৃ দিবস পালন করেন।
১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পিতৃ দিবস পালনের দিনটিকে স্বীকৃতি দেন। ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে নির্বাচন করেন পিতৃ দিবস হিসেবে। এইভাবেই সারা বিশ্বে শুরু হয় পিতৃ দিবস পালনের প্রচলন।
যদিও বাবাদের জন্য কোনও একটি বিশেষ দিন হয় না। প্রত্যেকদিনই তাঁদের দিন। তবুও একটু বিশেষ করে তাঁদেরকে মুখ ফুটে বলতে ইচ্ছে হয়েই, “আসলে তুমি আমার হিরো…”
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা। টেকটকির পক্ষ থেকে জানানো হল তাঁদেরকে প্রণাম।