ছোটবেলা থেকে বাড়ি হোক বা বিদ্যালয়, একটি মন্ত্র পাখি পড়ার মত গুরুজনেরা আমাদের শিখিয়ে গেছেন। তা হল ‘স্বাস্থ্যই সম্পদ’। এ কথা অস্বীকার করার বিন্দুমাত্র উপায় নেই। কারণ স্বাস্থ্যের মত অমূল্য সম্পদ আর দুটি হয় না। কিন্তু অজ্ঞানে হোক বা সজ্ঞানে, আমরা আমাদের এই বহুমূল্য সম্পদের প্রতিই নানা সময় অবিচার করে থাকি। সঠিক প্রতিপালন করে উঠতে পারি না। এর ফলে ঘটতে থাকে নানা প্রতিকূলতা। ইদানিং কালে যেন এই মহাশয়ের প্রতি আমরা বেশিই উদাসীন হয়ে পড়ছি। বাইরের অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, অতিরিক্ত অনিয়মিত জীবন যাপন আমাদের স্বাস্থ্যের সুস্থতার গতি দমন করছে। এর ফলে দেখা যাচ্ছে দিনদিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উঠছে আমাদের শরীর। অতিরিক্ত মেদে জেরবার হয়ে উঠছে ব্যাক্তিগত যাপন। ব্যস্ত রোজনামচায় স্থান পাচ্ছে না শরীর চর্চা। ডায়েটেও শরীর পাচ্ছে না সঠিক পরিমাণে পুষ্টি। তাহলে এখন উপায়? সেই উপায় নিয়েই আজ বিশেষ পর্বে আলোকপাত করা হবে। মাত্র তিনটি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলেই আপনি আমার স্বাস্থ্যকে পারবেন নিয়ন্ত্রনে আনতে।
শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে আপনাদের যে পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করতে হবে, তা নিম্নরূপ –
শীঘ্র নৈশভোজ – বাঙালি পরিবারের মূলত প্রবণতা থাকে বেশ রাতের দিক করে নৈশ ভোজ সম্পন্ন করার। কিন্তু এই প্রবণতার জন্য আমাদের শরীরে বাড়তি মেদ তৈরি হতে পারে, জানেন কি? খাওয়া দাওয়ার পরেই ঘুম, আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠতে পারে। এর জন্য আপনাকে রাতের খাবার খাওয়ার সময়কে এগিয়ে আনতে হবে। যত শীঘ্র সম্ভব আপনাকে রাতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে এই অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে আপনি অনেক লাভবান হবেন।
হাঁটা – একটি দিনে অন্তত তিরিশটি মিনিট নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন। সেই সময় জোরে জোরে হাঁটা অভ্যাস করুন। ঘাম ঝরানো আপনার শরীরের সুস্থতার অন্যতম পাথেয় হয়ে উঠতে পারে। দিনের যে কোনও সময় বাদে আপনি যদি রাতে খাওয়ার পর অন্তত আধ ঘন্টা হাঁটেন, সেটি আপনার জীবনে ম্যাজিকের মত কাজ করবে। খেয়ে দেয়েই ঘুমনোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। হাঁটার জন্য সময় দিন।
ধ্যান – রাত্রে ঘুমনোর আগে অন্তত দশ থেকে কুড়ি মিনিট ধ্যান করুন। এই সময়ে কেবল নিজেকে দেখুন এক নতুন রূপে, যে রূপে আপনি দেখতে চান। মেদহীন শরীরের এক আপনিকে ভাবুন তখন। দেখবেন এই ভাবনা আপনার অবচেতনে গেঁথে গিয়ে, আপনার রোজনামচার মধ্যে বারবার আপনাকে কড়া নাড়বে। কড়া নাড়বে এই কারণে, কারণ আপনাকে সেরকমটিই হয়ে উঠতে হবে।
তাহলে আর দেরি কিসের? আজ থেকেই শুরু করে দিন এই পদ্ধতিগুলি। দেখবেন, এর সুফল আপনি পাবেনই পাবেন।