ঘাবড়াবেন না। ব্যাঙ্ক হঠাৎ করে বন্ধ হতে পারে না তবে বন্ধ হতে পারে নির্দিষ্ট কারণ থাকলে। এটি কখন হতে পারে? সহজ ভাবে বললে প্রধানত তিনটি কারণে এমনটা হতে পারে।
প্রথমত, ঋণের ভার সামলাতে না পেরে যদি দেউলিয়া হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, যদি অন্য কোনও ব্যাঙ্কের সঙ্গে তা জুড়ে যায়। তিন নম্বর এবং সর্বশেষ কারণটি হলো ব্যবসায় স্বচ্ছতা বজায় না রাখা এবং অতঃপর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশে ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হওয়া।
ব্যাঙ্ক উঠে যাওয়ার কারণ যা-ই থাক না কেন, ব্যাঙ্ক বন্ধ হলে গ্রাহকের মূল্যবান সম্পত্তির কী হবে তা জেনে রাখা দরকার। কি করবেন ব্যাঙ্ক বন্ধ হলে? সম্পত্তি কি জলে যাবে? লকারে রাখা সব গয়না শেষ? জেনে রাখুন বিস্তৃত।
উত্তরটি হলো না অর্থাৎ সম্পত্তি চলে যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই। কেন না, কোনও ব্যাঙ্ক যদি নিজেদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়, তাহলে আইন অনুসারে সেটা প্রত্যেক গ্রাহককে বিজ্ঞপ্তি সহকারে জানাতে বাধ্য।
সেক্ষেত্রে নোটিফিকেশন এলে বা বিজ্ঞপ্তি এলে সেই মতো লকার থেকে নিজেদের মূল্যবান জিনিস সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়- সে আরেকটা ব্যাঙ্কের লকারেই হোক কী বাড়িতে। অতএব, এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কারণ নেই বললেই চলে।
আর যদি লকার কোনও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়? তখন কী করণীয়? Reserve Bank of India এর নয়া লকার চুক্তি অনুসারে যদি লকার থেকে চুরি, ডাকাতি, ব্যাঙ্কের অবহেলা বা তার কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে ব্যাঙ্ক ক্ষতিপূরণ দেবে। এই ক্ষতিপূরণ লকারের বার্ষিক ভাড়ার ১০০ গুণ পর্যন্ত হবে।
তবে হ্যাঁ, যদি লকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ক্ষতিপূরণের জন্য ব্যাঙ্ক কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না। আবার অন্য দিকে, নতুন চুক্তি অনুযায়ী গ্রাহক মারা গেলে নমিনি লকার সুবিধা পাবেন। যদি তিনি এই লকার রাখতে চান তবে তাঁকে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে আর রাখতে না চাইলে তিনি দাবিদার হিসেবে লকারের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন।
মনে রাখা দরকার, এই সুবিধা পেতে হলে নতুন লকার চুক্তিতে সই করতে হবে। অতএব, লকার নেওয়া থাকলে দেরি না করে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করাই উচিত হবে।