টিকটিকি! এমন একটি জীব যা প্রতিটি বাড়ীতে থাকবেই।বর্ষার মরশুম আসতে না আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে পোকামাকড়ের উপদ্রব। পোকামাকড় টিকটিকির প্রধান খাদ্য। উপকার করে ঠিকই কিন্তু অপকারও করে। টিকটিকির মল খুব ক্ষতিকর। হতে পারে ফুড পয়জনিংও।
তাই টিকটিকি বাড়তে দিলে হবেনা। এমন উপায় বের করতে হবে যাতে টিকটিকির হাত থেকে মুক্তি মেলে। সেরকমই কিছু উপায় এর কথা বলেছি আজকের এই প্রতিবেদনে। দেখে নিন।
আসলে ঘরে টিকটিকি দেখা গেলেই মনটা বিরক্তিতে ভরে যায়। তাই টিকটিকির উপদ্রব থেকে থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায়ও অবলম্বন করা যেতে পারে। জেনে নেওয়া যাক সেই সব উপায়ের বিষয়ে।
১) পেপার স্প্রে:
ঘর থেকে টিকটিকি তাড়ানোর সেরা উপায় হল পেপার স্প্রে। খুব সহজেই বাড়িতে আপনি পেপার স্প্রে তৈরি করে নিতে পারেন। কিভাবে দেখে নিন:
এর জন্য প্রথমে কিছু গোলমরিচ নিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার সেই গোলমরিচের গুঁড়ো ভাল করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে নিতে হবে। এবার যেখানে যেখানে টিকটিকি দেখা যাচ্ছে, সেই সব জায়গায় এই পেপার স্প্রে ছিটিয়ে দিতে হবে। এই স্প্রে ব্যবহার করলে তার ফল পাবেন হাতানাতে। তবে গোলমরিচের পরিবর্তে জলে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো কিংবা হট স্যস মিশিয়েও একটি মিশ্রণ তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। এই স্প্রে-ও টিকটিকির উপদ্রব থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক।
২) পেঁয়াজ আর রসুন:
পেঁয়াজ এবং রসুনের একটা তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ থাকে। ফলে এই দুই সবজিও টিকটিকি তাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। তবে এই দুই সবজি কখনওই টিকটিকির ক্ষতি করে না। টিকটিকি দূর করার জন্য ঘরে কিছু পেঁয়াজের টুকরো কিংবা রসুন কোয়া রেখে দিতে হবে। এটা সম্ভব না হলে আরও একটি উপায় রয়েছে। একটি প্লাস্টিকের বোতলে কিছুটা জল নিয়ে তার মধ্যে পিঁয়াজের টুকরো কিংবা রসুনের কোয়া রাখতে হবে। এর ফলে ঘরে টিকটিকি তো আসবেই না এবং পোকামাকড় ও মথের উপদ্রব থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
৩) ন্যাপথলিন:
ন্যাপথলিন পোকামাকড় তাড়াতে ওস্তাদ। টিকটিকি তাড়ানোর জন্য ঘরে ন্যাপথলিন রাখা যেতে পারে। কারণ ন্যাপথলিনের তীব্র গন্ধ টিকটিকি একেবারেই সহ্য করতে পারে। তবে সতর্কতা অবলম্বন করেই এটি ব্যবহার করতে হবে। আসলে ন্যাপথলিন পোষ্য কিংবা শিশুর নাগালের বাইরে রাখা উচিত কারণ এটি বিষাক্ত তাই ভুল করে খেয়ে ফেললে মারাত্মক ক্ষতি ঘটে। তাই রান্নাঘরের আলমারিতে কিংবা বেসিনের তলায় ন্যাপথালিন রাখলে তা টিকটিকি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে মুক্তি দেবে।