বর্তমানে দূষণ এবং আরো অনেক কারণে প্রায় সকল মানুষই চুলের সমস্যায় জেরবার। চুলের পরিচর্যা করার জন্য অনেকেই অনেককিছু করেন। তবুও সবসময় যে উপকার পাওয়া যায় এমন কিন্তু নয়। তবে চিন্তা নেই কারণ আজ আমরা আপনাদের সাথে ভাগ করতে চলেছি যে কোন পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিলে স্বাস্থ্যকর চুল পাবেন।
আসুন জানা যাক।
আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে চুলের বৃদ্ধিতেও প্রভাব পড়ে। কিভাবে? বিস্তারিত বলি। ব্যায়াম করার সময়ে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। স্ক্যাল্পেও সঠিক পরিমাণে রক্ত সরবরাহ হয়। ফলে, হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায়। তাই চুলের বৃদ্ধিও হয় ভীষণই ভালো মতো।
এখনকার দিনে তো মানুষের মনে দুশ্চিন্তা আসা সাধারণ ব্যাপার আর এই দুশ্চিন্তার কারণেও কিন্তুঅতিরিক্ত পরিমাণে চুল ঝরতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে এই দুশ্চিন্তাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এছাড়াও প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট স্ক্যাল্প মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ঘন এবং লম্বা হয় আপনার চুল।
কী কী ব্যায়াম কার্যকর হবে এই ক্ষেত্রে?
নিয়মিত কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ করলে ফল পাবেন আপনি। দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটার মতো একাধিক ব্যায়াম করতে পারেন আপনি। এই প্রতিটি ব্যায়াম আপনার সারা শরীরে এবং স্ক্যাল্পেও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
যোগাসন করতে পারেন আপনি। যোগা ভীষণ কার্যকরী এই ক্ষেত্রে। প্রতিদিন যোগাসন করুন। এই ধরনের ব্যায়াম আপনার দুশ্চিন্তার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অত্যাধিক দুশ্চিন্তার কারণে প্রচুর পরিমাণে চুল উঠতে পারে। তাই এই দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনার চুলের সমস্যা কম হয়।
এছাড়া বিভিন্ন শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম করতে পারেন। এই ব্যায়াম করলে দুশ্চিন্তা কমে এবং চুল পড়া কমবে। এছাড়াও নখে নখ ঘষলেও নাকি চুল গজায়। দেখতে পারেন।