সূর্যের দাবদাহ যেন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। বাড়ছে অস্বস্তি ও অসুস্থতার খবর। গরমের মধ্যে অনেকের হচ্ছে হিট স্ট্রোক! এতে অনেকের মৃত্যুও ঘটছে। এই হিট স্ট্রোক কি? কিভাবেই বা বাঁচবেন এর হাত থেকে? জানতে হলে পড়ুন শেষ অবধি।
প্রথমেই জানবো যে হিট স্ট্রোক কি? এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার এন্ড ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট মহুয়া ভট্টাচার্য জানান যে, “গরমে শরীরের তাপমাত্রা খুব বাড়তে থাকে। ডিহাইড্রেশন হয়। শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য যে পরিমাণ জল প্রয়োজন , তা না থাকলে শরীরের অন্য অর্গ্যানগুলিতে রক্ত সঞ্চালন হয় না। তার জেরে ধীরে ধীরে অর্গ্যান ফেলিয়োর হয়। প্রথমে ব্রেনে প্রভাব পড়ে। তার জেরে মানুষ ঝিমিয়ে পড়ে। অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।”
হিট স্ট্রোক হলে কী হয়?
এই বিষয়ে ডাক্তার মহুয়া ভট্টাচার্য বলেন যে,” হিটস্ট্রোক অনেকটাই ক্ষতি করতে পারে। কথাটির মাধ্যমে মূলত বোঝা যায়, কোনও তাপ থেকে স্ট্রোকের মতো উপসর্গ দেখা দেবে। অর্থাৎ রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।”
হিট স্ট্রোক কি এবং হিট স্ট্রোক হলে কি হয় তা তো জানা গেল কিন্তু এর প্রতিকার কি? বাঁচাবেন কিকরে নিজেকে এর থেকে?
এর উত্তর হলো জল। হ্যাঁ প্রচুর পরিমাণে জল, ors মেশানো জল, নুন চিনি লেবু মেশানো জল এর উত্তর। এছাড়াও টুপি ও ছাতার ব্যবহার করুন সবসময়। রোদে কম বেরোন। খুব দরকার ছাড়া বেরোবেন না। মনে রাখবেন যে হিট স্ট্রোক হলে মৃত্যুও হতে পারে।
এতকিছুর পরেও যদি হিট স্ট্রোক হয় তাহলে কি করণীয়?
সবার আগে আক্রান্তকে ছায়াতে নিয়ে চলুন। জামাকাপড় খুলে ঠান্ডা জলে ভেজানো তোয়ালে বা গামছা দিয়ে গা মোছান। রোগীর জ্ঞান না আসা অবধি এটি করতে থাকুন। রোগীর জ্ঞান ফিরলে জলে ORS মিশিয়ে খাওয়ান। মাথা ধুয়ে দিন। রোগী একটু সুস্থ বোধ করলে খাবার খাওয়ান হালকা কিছু। রোগী যদি বমি করে খাবার খাওয়াতে যাবেন না। শরীর ঠান্ডা না হওয়া অবধি কিছু করার নেই।
রোগীর জ্ঞান না ফিরলে কি করণীয়?
এতকিছু করেও যদি রোগীর জ্ঞান না ফেরে তাহলে এক মুহূর্ত দেরি না করে সত্ত্বর ডাক্তারের কাছে যান নয়তো রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হবে।