ভারতের বহু মানুষের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে (State Bank of India) রয়েছে ব্যাংক একাউন্ট। বিভিন্ন রকম উপায়ে, বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকরা অনেক সময় প্রতারিত হন এবং তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা খোয়া যায়। ইন্টারনেট আসার পর থেকে ব্যাংক জালিয়াতি এবং ফ্রড কেস গুলি অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বহু মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিমেষের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় এবং হ্যাকার বা জালিয়াতরা সমস্ত টাকা তুলে নেয়।
হ্যাকার এবং জালিয়াত এর হাত থেকে বাঁচার জন্য গ্রাহকদের জন্য টুইট (SBI tweet) করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। গ্রাহকদের কিছু বড় ভুল করতে মানা করেছে ব্যাংক। এই ভুলগুলি করলে যে কোন সময় গ্রাহকদের ব্যাংক একাউন্ট সম্পূর্ণ ফাঁকা হয়ে যেতে পারে এবং জালিয়াতরা সমস্ত টাকা তুলে নিতে পারে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভুল করেও মোবাইলে ব্যাংক সম্পর্কিত কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেভ করবেন না। মোবাইল চুরি বা খোয়া গেলে সেই তথ্য হ্যাকারের কাছে চলে যেতে পারে। এছাড়াও অনেক থার্ড পার্টি অ্যাপ (Third party app) এর থেকে সেভ করা তথ্য মোবাইলের বাইরে লিক হতে পারে।
অজানা কোন লিংক থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে বারণ করা হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে। অনেক সময় অ্যাপগুলি (Fraud apps) ব্যাংকের ডিটেলস কালেক্ট করে ব্যাংকের সমস্ত টাকা তুলে নিতে পারে।
ব্যাংক সম্পর্কিত কোন পারসোনাল তথ্য অন্য কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না।
শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর (Google play Store) এবং অ্যাপেল প্লে স্টোর থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য বলা হচ্ছে গ্রাহকদের।
ব্যাংকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে নিজেদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং আইডি, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার, ডেবিট কার্ডের পিন, নিজের জন্ম তারিখ এবং ওটিপি (OTP Scam) কারো সাথে শেয়ার না করতে। এইসব তথ্যগুলি যদি অন্য কারো কাছে পৌঁছে যায় তবে খুব সহজেই ব্যাংক একাউন্ট খালি করে দিতে পারে তারা।
অনেক সময় কিছু জালিয়াতরা ব্যাংকের নাম করে গ্রাহকদের ফোন করে তাদের কাছ থেকে এটিএম এর পিন এবং ব্যাংকের ডিটেলস জানতে চায়। গ্রাহকদের দেওয়া এই তথ্য থেকে খুব সহজেই হ্যাকাররা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি করে দিতে পারে নিমেষের মধ্যে। অনেকেই নিজেদের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মী, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার(Reserve Bank of India) কর্মী, সরকারি অফিসার বা পুলিশ সেজে গ্রাহকদের ফোন করে তাদের কাছ থেকে ব্যাংকের ডিটেল সংগ্রহ করছে ।KYC আপডেট (KYC update) করার নাম করেও গ্রাহকদের ফোন করে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে। এই সমস্ত কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে গ্রাহকদের।