দীর্ঘপ্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সামনের মাসেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রাথমিকের ‘টেট’ (TET) পরীক্ষা। প্রাথমিকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (Official Website) ইতিমধ্যেই গাইডলাইন (Guidelines) প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু নিয়ম বলা হয়েছে যা একজন টেট পরীক্ষার্থীকে মানতে হবে। অন্যথায় তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না বা তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। অতএব, খুব ভালো করে এই নিয়মগুলো জেনে নিন।
প্রথমেই মনে রাখবেন যে, পরীক্ষার হলে আপনাকে অবশ্যই সময়ের দু’ঘন্টা আগে পৌঁছতে হবে। সেখানে পৌঁছে অবশ্যই নিজের অ্যাডমিটে (Admit Card) থাকা রোল নম্বর অনুযায়ী নির্ধারিত সিটে বসতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী না এলে তাঁর জায়গা ফাঁকাই থাকবে, অন্যকেউ তাঁর জায়গাতে বসতে পারবে না। অন্যথায় পরীক্ষা বাতিল হয়ে যেতে পারে তাঁর। এছাড়াও যেগুলো মানতে বলা হয়েছে সেগুলি হলো,-
১. পরীক্ষার হলে কোনোপ্রকার ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস যেমন মোবাইল (Mobile), ক্যালকুলেটর (Calculator), হেডফোন (Headphone), যেকোনো রকম ঘড়ি (Any Type of Watchs), স্ক্যানার (Scanner) ইত্যাদি নিয়ে যাওয়া যাবেনা।
২. ছেলে হোক বা মেয়ে, কোনোরকম গয়না (Jewellery) সে যেকোনো ধাতুর হোক না কেনো; পরে গেলে হলের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
৩. একজন পরীক্ষার্থী পেনসিল বক্স(Pencil Box), পেন্সিল(Pencil), রবার(Rubber), ইলেক্ট্রনিক্স পেন(Electronic Pen), কাঠবোর্ড(Board), কোনোপ্রকার কাগজ(Any Type of Paper), রাইটিং প্যাড(Writing Pad), স্কেল(Scale), পেনড্রাইভ (Pendrive) ইত্যাদি নিয়েও হলে ঢুকতে পারবেন না।
৪. কোনোরকম হেলথ ব্যান্ড(Health Band), পেজার, মাইক্রোফোন (Microphone) ইত্যাদি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
৫. পরীক্ষার হলে কোনোরকম খাবার বা প্লাস্টিক পাউচ (Pouch) নিয়ে ঢোকা যাবে না।
৬. হলে বসে কফি, চা, কোল্ড ড্রিঙ্কস বা অন্যরকম পানীয় পান করা যাবে না। কোনোরকম চিপস, বিস্কুট ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
৭. হলের মধ্যে পান, গুটখা, বিড়ি, সিগারেট খাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কোনোরূপ গোলমাল করা যাবে না।
৮. পরীক্ষা শেষ হবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে হল ছেড়ে বেরোনো যাবে না। যদি একান্তই খুব দরকার হয় তবে পরীক্ষকের (Invigilator) সাথে সেই ব্যাপারে আলোচনা করতে হবে ও কারণের গুরুত্ব বুঝে তাঁকে সময়ের আগে বেরোতে দেওয়া হবে।
৯. ছেলে হোক কি মেয়ে; কোনো পরীক্ষার্থী তাঁর সাথে পার্স বা মানিব্যাগ নিয়ে হলে যেতে পারবেন না।
উপরিউক্ত সমস্ত নিয়মগুলি ভালো করে মেনে চলতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এই নিয়ম না মানলে বা ভঙ্গ করলে পরীক্ষা বাতিল হতে পারে অথবা কঠোর শাস্তি দেওয়া হতে পারে। আবার, যদি অন্য কেউ অন্য কারো জায়গায় পরীক্ষা দিতে যান এবং ধরা পড়েন তবে সেই প্রার্থীর গোটা ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রাথমিকে দুর্নীতি রুখতে এবার ভীষণভাবে তৎপর সরকার। সেই কারণেই এত বেশি নিয়ম, এত বেশি কড়াকড়ি। পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছতার সাথে হয় তারই চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। আরো বিশদে জানতে হলে প্রাথমিকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (Official Website) গিয়ে দেখতে পারেন যেগুলি হলো,-