আমরা কমবেশি সবাই জানি যে মিষ্টি খেয়ে সত্যিই কোনো উপকার (Benefit) হয়না বরং ক্ষতির (Harm) সম্ভাবনা বাড়ে। মিষ্টি খেয়ে শুধু মনের তুষ্টি (Satisfaction) ঘটে। ওজন বাড়ার ভয়ে অনেকেই আমরা মিষ্টিকে নিজেদের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে থাকি। অনেকেই মিষ্টি না খেলেও অনেকটা চিনি খেয়ে ফেলেন খাবারে। কিন্তু মিষ্টি বা চিনি থেকে শুধু ওজন বাড়ে তাই নয় বরং আরো অনেক রোগ যেমন ডায়াবেটিস (Diabetes), হার্টের প্রবলেম (Heart Problem), সুগার (Sugar), অ্যাসিডিটি (Acidity), দাঁতের সমস্যা (Dental Problem) ইত্যাদির উপদ্রব (Nuisance) দেখা দেয়। একটি শস্যের থেকে তৈরি হয় চিনি। সেই শস্য বা ফলটি হোক ‘আখ’। অর্থাৎ, চিনি বা শর্করার জন্ম আমাদের দেশেই। বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু মিষ্টি (Sweet), কেক (Cake), পেস্ট্রি (Pastry) এসব চোখের সামনে দেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ (Control) করা সত্যি খুব মুশকিল হয়।
ওজন বাড়ার ভয়ে তালিকা থেকে মিষ্টি পুরোপুরি বাদ না দিয়েও কিন্তু ডায়েট (Diet) করা যায় ও ওজনও কমবে। আসুন দেখে নিই কিভাবে-
যেহেতু মিষ্টি খেলে কোনো উপকার হয়না আদৌ তাই হপ্তায় এক থেকে দুইদিন রাখুন মিষ্টির জন্য। তবে এর মধ্যে কিন্তু চা’য়ে চিনি খাওয়া যাবেনা এবং তরকারিতেও অতিরিক্ত মিষ্টি দেওয়া যাবেনা।
আইসক্রিম (Ice Cream) বা কেক (Cake) খেতে মন হলেও সেই ক্ষেত্রে মাসে একদিন খেতে পারেন। মিষ্টি জিনিস খাবার জল ভালোভাবে কুলকুচি করুন ও জল খান অনেকটা। স্যালাড অবশ্যই খাবেন। কোক (Coke), পেস্ট্রি (Pastry) বা মিষ্টি বিস্কুট খাওয়াতেও কিন্তু রাশ টানতে হবে। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের ফল মিশিয়ে বিভিন্নভাবে খাবেন যেমন ধরুন আপেল (Apple), কলা (Banana), খেজুর (Dates), বেদানা (Pomegranate), লেবু (Orange), আমন্ড (Almond), কিশমিশ (Kismis) একসাথে মিশিয়ে খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। এর পরিবর্তে ফলের সাথে দই (Curd) মিশিয়ে রায়তা বানিয়েও খেতে পারেন। রোজ আমন্ড, আখরোট, খেজুর এসব খান। লাড্ডু খেতে ইচ্ছে হলে গাজর কুরিয়ে, খেজুর কুরিয়ে, একটু শুকনো নারকেল গুঁড়ো মিশিয়ে মণ্ড (Mould) বানিয়ে ফেলুন আর ওপর থেকে ছড়িয়ে দিন কিশমিশ বা আমন্ডের টুকরো। খেতেও ভালোই হবে আর মনও ভরবে।
এগুলো মেনে চলতে থাকলে আপনার মিষ্টি খাবার শখও পূরণ হবে আবার ওজনও বাড়বে না বরং কমবে। তাহলে আর দেরি নয়, আজ থেকেই শুরু করে দিন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।