Inversion Method: ঘন চুল পেতে চান? মাত্র কয়েক মিনিটের চেষ্টাই যথেষ্ট! জানুন বিস্তারিত।

বর্তমানে ভীষণ ভাবে চুলের সমস্যায় ভুগছেন সকলে। চুল ঝরা থেকে সাদা চুলের সমস্যায় আক্রান্ত সবাই। চুল বৃদ্ধির জন্যে নিয়মিত যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধুই দামি প্রোডাক্ট মাখলেই যে চুলের হাল ফিরবে, এমন কিন্তু নয়। বরং, সঠিক নিয়ম এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো চুলের যত্ন নিতে পারেন, তবে সুফল মেলার সম্ভাবনা অনেক বেশি। চুলের বৃদ্ধির জন্যে ঠিক কী কী করতে হবে?

আপনার উত্তর হলো Inversion Method! কী এটি? বিস্তারিত জানুন।

ইনভারসন মেথড(Inversion Method) কী?
লম্বা এবং ঘন চুল পাওয়ার জন্যে এই ‘ইনভারসন টেকনিক’-কে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কী এই পদ্ধতি, কী ভাবেই বা এই মেথডকে কাজে লাগাতে হবে, সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনার মাথাকে সামনের দিকে ঝুলিয়ে বা ঝুঁকিয়ে দিতে হবে। চুল শোকানোর সময়ে যেভাবে চুল সামনের দিকে নিয়ে আসা হয়, ঠিক সেভাবেই। এই সময়ে আপনার চুল খোলা রাখাই ভালো। মাথা বেশ কিছুক্ষণ সামনে ঝুলিয়ে রাখার কারণে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে, চুলের বৃদ্ধিও হয় দেখার মতো। চুলের জেল্লা এবং ঘনত্ব দেখে সবার তাক লেগে যায়।

এই পদ্ধতি কতটা কার্যকরী?

চুলের বৃদ্ধির জন্যে বিউটি ওয়ার্ল্ডে মিনোক্সিডিল-এর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। এই উপাদান আসলে আপনার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। স্বাভাবিকভাবেই চুলের বৃদ্ধিও হয়। নতুন করে চুল গজায়। তাই এক্ষেত্রেও উপকার মিলতে পারে বলেই মনে করা যেতে পারে।

কারা করতে পারেন?


বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে আপনি এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন। তবে আপনার উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা থাকলে এই পদ্ধতি এড়িয়ে চলাই ভালো। গর্ভাবস্থায় এই ‘ইনভারসন মেথড’ কাজে না লাগানোই উচিত।

কী ভাবে করতে হবে?


প্রথমে আপনার স্ক্যাল্পে ভালো করে সিরাম লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে স্ক্যাল্প মাসাজ শুরু করুন। চুলের জট আঙুল দিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়িয়ে নিন।
এবার বিছানায় শুয়ে পড়ুন। খাট থেকে মাথা মেঝের দিকে ঝুলিয়ে দিন। চুল খোলাই রাখবেন। হাতের আঙুল দিয়ে ধীর ধীরে মাথার তালু মাসাজ করতে থাকুন। ৩-৫ মিনিট এই কাজটি করতে হবে।

ইনভারসন মেথড’-এর পাশাপাশি দুই একটি যোগাসনও করবেন অবশ্যই। কোন কোন যোগাসন? উত্তর হলো শীর্ষাসন এবং অধোমুখ স্বনাসন। এই যোগা দুটি করলেও একই উপকার মিলতে পারে।

ঘন এবং লম্বা চুল পাওয়ার জন্যে দিনের মধ্যে কয়েক মিনিট সময় বের করে এগুলি করাই যায় তাইনা কি? করে দেখুন। চিকিৎসকরা যখন বলেছেন তখন নিশ্চয় উপকারী হবে এটি।

Scroll to Top