‘এক আকাশের নীচে’ ধারাবাহিকের, ‘পাখি’কে মনে পড়ে? তাও সে নয় নয় করে বাইশ তেইশ বছর আগের কথা। আলফা বাংলার (জি বাংলার পূর্ব নাম) এই ধারাবাহিকে, ছোট্ট মিষ্টি, ফুটফুটে একটি মেয়ে মন জিতে নিয়েছিল বাঙালি দর্শকের। কনীনিকা ব্যানার্জী (Koneenica Banerjee), অভিনয় জীবনের প্রথম দিকেই বাঙালি ঘরের প্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। চড়তে থাকে তাঁর সাফল্যের পারদ। ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’, ‘নীল সীমানা’, ‘রাত ভোর বৃষ্টি’, এর মত জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেন কনীনিকা। মলয় ভট্টাচার্যের চলচ্চিত্র ‘তিন এক্কে তিন’-এর মাধ্যমে রুপোলি পর্দায় অভিষেক ঘটে তাঁর।
মিষ্টি হাসি, সাবলীল অভিনয় দিয়ে কনীনিকা তাঁর জাত চিনিয়েছেন ‘অন্দরমহল’ থেকে ‘আয় তবে সহচরী’ র মত ধারাবাহিকে। তাঁর অভিনয় প্রভূত প্রশংসা পেলেও, বাংলা ইন্ড্রাস্ট্রিতে যেন কনীনিকা বেশ ‘আন্ডাররেটেড’। তাঁর অভিনয় দক্ষতা যে পরিমাণ তুখোড়, এতদিনে আরও বড় স্থানে থাকার কথা ছিল অভিনেত্রীর। এই কথা তিনি নিজেও যে স্বীকার করেন, এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে কিছুদিন আগে। নিজের অভিনয় জীবন নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন কনীনিকা। বরং বেশ ক্ষোভ রয়েছে তাঁর বাংলা ইন্ড্রাস্ট্রির ওপর। কিছুদিন আগে এক সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন ছোট পর্দার ‘পরমেশ্বরী’।
এক সাক্ষাৎকারে কনীনিকা জানান, ‘কোনো এক অজ্ঞাত কারণে আমি কাজের সুযোগ পেয়েছি খুব কম। তিনি বলেন ‘ “আবার আসব ফিরে” করার সময়ে শুনেছিলাম, আমি নাকি সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী। তবু কেউ ডাকল কি? আসলে সময় আর ভাগ্য একটা বড় ব্যাপার। আমার লড়াইটা বেশি হয়ে গিয়েছে, কাজ কম।’ কনীনিকার এমন ক্ষোভ প্রকাশে সমব্যথী হয়েছেন অনুরাগীরাও। অনেকেই জানিয়েছেন, যোগ্য মানুষের যোগ্যতা প্রকাশ করার জায়গা থাকে না। কেউ বা তাঁর অভিনীত ‘পাখি’ চরিত্রটিকে স্মরণ করে, নস্টালজিয়ায় ডুব দিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস রেখেছেন, কনীনিকা ঠিক একদিন তাঁর যোগ্য সম্মান পাবেন, কারণ ভালোদের সঙ্গে সবসময়ই ভালোই হয়।