অনেকেরই শখ থাকে ভালো মোবাইল ব্যবহার করার তবে অনেক টাকা-পয়সার না থাকার কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে ওঠে না। বাধ্য হয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেই পুরনো হ্যান্ডসেট কিনে থাকেন।
বিভিন্ন মোবাইলের দোকানে পুরনো হ্যান্ডসেট কিনতে পাওয়া যায় এছাড়া বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মেও পুরনো হ্যান্ডসেট কেনার সুযোগ রয়েছে। নতুনের দামের অর্ধেক বা তারও কম দামে পুরনো হ্যান্ডসেট পাওয়া যায় বলে অনেকেই পুরনো হ্যান্ডসেট কিনে ব্যবহার করে থাকেন।
তবে পুরনো হ্যান্ডসেট কেনার আগে বেশ কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখা উচিত। এগুলি ভালো করে দেখে নিলে আপনারা ঠকবেন না এবং ভবিষ্যতে পুলিশ এর ঝামেলা থেকেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
দেখে নিন পুরনো মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই যাচাই করে নেওয়ার মতো 7 টি তথ্য।
১. মোবাইল কেনার সময় দেখে নিন তাতে কোন স্ক্র্যাচ মার্ক আছে কিনা। মোবাইলের সব জায়গায় টাচ স্ক্রিন ঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা সেটিও ভালোভাবে যাচাই করে দেখে নিন।
২. মোবাইলের ব্যাটারি কেমন সেটি ভালোভাবে যাচাই করে নিন আপনি যার কাছ থেকে মোবাইল কিনছেন, তার কাছ থেকে। একবার চার্জ দিলে কতক্ষণ যায়, চার্জ দিতে কতক্ষণ লাগে ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
৩. অনেক সময় পুরনো মোবাইল বিক্রেতারা গ্রাহকদের ঠকিয়ে থাকেন বিভিন্নভাবে। এজন্য একটু জনবহুল স্থানে গিয়েই আপনারা পুরনো মোবাইল কিনবেন।
৪. অনেক সময় ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়া মোবাইল অনেকে বিক্রি করে দেন। এইজন্য পুরনো ফোন কেনার সময় স্ক্রিনের উপর জলের দাগ আছে কিনা যাচাই করে নেবেন।
৫. সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার সময় অবশ্যই মোবাইলের অরিজিনাল চার্জার হেডফোন ইত্যাদি গুলি নেবেন। যদি বিক্রেতার কাছে এই জিনিসগুলি না থাকে তাহলে আপনি দাম কমাতে থাকুন এবং দাম কমানোর জন্য বিক্রেতাকে চাপ দিন।
৬. পুরনো হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই তার কাছ থেকে মোবাইল কেনার রশিদ নিন। পরবর্তীকালে কোনরকম পুলিশের ঝামেলা হলে আপনি এই রশিদ দেখিয়ে সেই ঝামেলায় এড়াতে পারবেন।
৭. মোবাইল ফোনটি ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যে আছে কিনা দেখে নিন। ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যে না থাকলে দাম কমানোর জন্য চাপ দিন। ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যে থাকলে সেটি আপনার নিজের নামে ট্রান্সফার করে নিন।
এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনারা মোবাইল কেনার সময় ঠকবেন না। এছাড়া পরবর্তীকালে যে কোন রকম আইনি ঝামেলাও সহজে এড়িয়ে যেতে পারবেন।