আসল ও নকল মশলা চিনবেন কি করে? কী চেনার উপায়? জেনে নিন।

রান্না মানেই বিভিন্ন মশলার রমরমা। মশলা ছাড়া রান্না হয়না একদমই। আগেকার দিনে বাটা মশলার প্রচলন থাকলেও বর্তমানে মানুষ বেশিরভাগ সময় প্যাকেটজাত মশলা ব্যবহার করেন। কিন্তু, একটা সমস্যা থেকেই যায়। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় নকল মশলা ব্যবহার করছেন প্যাকেটে। আসল নকল বুঝবেন কী করে? কারণ এই নকল মসলাগুলি কিন্তু একদম আসলের মতোই দেখতে। তাহলে উপায়? উপায় বাতলে দিলাম আমরা! এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে সহজেই বুঝতে পারবেন আসল আর নকল মশলার পার্থক্য।তাহলে দেখে নেওয়া যাক।

লাল লঙ্কার গুঁড়ো:
লাল লঙ্কার গুঁড়োতে আজকাল প্রচুর ভেজাল থাকে। কীভাবে তৈরি হয় ভেজাল?
ভেজাল লঙ্কার গুঁড়ো তৈরির জন্য দোকানিরা লাল লঙ্কার গুঁড়ায় লাল ইট বা লাল রঙের মাটি মেশায়, যা খেলে আপনার পেট খারাপ হতে বাধ্য। আর এগুলো খালি চোখে বোঝার ও উপায় নেই। এমন অবস্থায়, আসল লাল লঙ্কার গুঁড়ো এবং নকল লাল লঙ্কার গুঁড়ো কী ভাবে শনাক্ত করবেন?
উপায় আছে আপনার কাছেই। লঙ্কার গুঁড়োর জলের সাথে মিশিয়ে নিন। আসল লাল লঙ্কার গুঁড়ো জলে ভাসে আর নকল লাল লঙ্কার গুঁড়ো ডুবে যায়। 

ধনে গুঁড়া:
ধনেগুঁড়োতেও নকলের প্রভাব ছেয়ে গেছে। ধনেপাতার গুঁড়া নকল না আসল, তা শনাক্ত করাও করার পদ্ধতি যেনে নিন।
নকল ধনে গুঁড়োতে কি মেশানো হয়?বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এতে আটার ভুসি, অথবা পশুখাদ্য খড় মেশায়।


চেনার উপায় কি?
এক গ্লাস জলে এক চা চামচ ধনে গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। আসল ধনেগুঁড়ো জলের নীচে থিতিয়ে যাবে, নকল ধনে গুঁড়ো থাকবে ভেসে৷ এছাড়াও, আসল ধনে গন্ধের মাধ্যমেও চেনা যায়৷

বিট নুন:
হ্যাঁ, এই প্রিয় জিনিসটিতেও ভেজাল বর্তমান। নকল ও আসল বিট নুন কী ভাবে শনাক্ত করা যাবে? কিভাবে নকল বিটনুন তৈরি হয় সেটা জানা না গেলেও কিভাবে শনাক্ত করবেন জেনে নিন।
এক্ষেত্রে সামান্য আলু ব্যবহার করেই আসল নকল টের পাওয়া যায়। বড় একটা আলু মাঝখান থেকে কেটে নিন৷ কাটা দিকে একটু বিট নুন রাখুন, তারপর উপরে লেবুর রস চেপে দিন। নুন যদি নকল হয় তবে তা বিবর্ণ হতে শুরু করবে। আসল বিট নুন হলে এমনটা হবে না।

দারুচিনিঃ
মিষ্টি স্বাদের এই মশলাতেও ভেজাল! আজ্ঞে হ্যাঁ। কিভাবে নকল করা হয়? অসাধু দোকানদার পেয়ারা গাছের ছাল দারুচিনির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। শনাক্ত করা ভীষণ সহজ। দারুচিনির স্বাদ মিষ্টি। তাই, একটু কামড়ে নিলেই বোঝা যাবে এটা আসল না নকল৷ এছাড়াও, আসল দারুচিনি হাতে ঘষলে বাদামি রঙ থাকে না৷ নকল দারুচিনি রঙের ছাপ ফেলে।

কালো মরিচ:
কীভাবে নকল করা হয়? দোকানিরা কালো মরিচে শুকনো পেঁপের বীজ মেশান।
এটি শনাক্ত করতে, জলে কালো মরিচ রাখুন। আসল হলে তা জলে ডুবে যায়৷ নকল কালো মরিচ হলে তা জলে ভাসতে শুরু করবে।

হলুদের গুঁড়া:
হলুদ ছাড়া তো রান্নাই হয়না আর এতেও ভেজাল? হ্যাঁ, বাজারে ভেজাল হলুদ অনেক পাওয়া যায়। কিভাবে করা হয় নকল? কিছু অসাধু দোকানদার তাদের লাভের জন্য হলুদে মেটানিল ইয়েলো নামে এক ধরনের রাসায়নিক বানায়।
চেনার উপায় কী?এমন অবস্থায় আসল-নকল হলুদ চেনার জন্য হলুদের গুঁড়ায় সামান্য হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মিশিয়ে জলে দিন। হলুদের রং যদি নীল, বেগুনি বা গোলাপি হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার ব্যবহৃত হলুদ নকল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *