মাত্র কিছুদিন হয়েছে ‘সিত্রাং’ (Sitrang)। এর মধ্যেই আবার আসতে চলেছে ‘ঘূর্ণিঝড়’ (Cyclone)! উপকূলীয় বাসিন্দাদের সত্যি খুব আতঙ্কে কাটছে সময়গুলো। যদিও বিগত বছরের দিকে দেখলে নভেম্বর মাসেই বেশিরভাগ বড়ো বড়ো ঝড় যেমন হ্যারিকেন (Hurricane), সুপার সাইক্লোন (Super Cyclone) হয়ে এসেছে। এবছরও তার অন্যথা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এই মাসে বঙ্গোপসাগরে দুইটি নিম্নচাপ-লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে যার একটু ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। আবহবিদরা এই আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছেন ‘ম্যান্দোস’ (Mandous)! এই নাম দেওয়া হয়েছে আরব আমিরাতের (Arab Emirates) তরফ থেকে।
গত মঙ্গলবার মাসিক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে আবহাওয়া অভিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো.আজিজুর রহমান জানান, “কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ও জলোচ্ছ্বাসে অনেক অঞ্চল ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চলতি মাসেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে দুটি লঘুচাপ (Light Pressure)। যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করতে পারে। এ মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বর্তমানে মৌসুমী বায়ুর একটি স্বাভাবিক লঘুচাপ (Light Pressure) দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এখন দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ কমবে। এখন দেশে কুয়াশা দেখা দিতে পারে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মনোয়ার হোসেন বলেন,”গত ২০শে অক্টোবর বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে। এখন বর্ষার বিদায় মুহূর্ত এবং তাতে সাইক্লোন বা গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে।”
‘সিত্রাং’-এর রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় সবচেয়ে বেশী ভীত হয়ে আছে উপকূলীয় অঞ্চলবাসীরা। আগামী ৭ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে। আগামী ১১ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে এমনটাই সূত্রের খবর!
তবে, এবার পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) বা বাংলাদেশ (Bangladesh) নয়; বরং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh)। ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গে। বাতাসে থাকা পশ্চিমী মেঘ অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) থেকে এসে এই রাজ্যে বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে। এই ঝড়ের জেরে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) ও তেলেঙ্গানার (Telengana) একাধিকাংশে প্রবল দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। এখন থেকেই সেইকারণে অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) ও তেলেঙ্গানার (Telengana) মানুষদের বেশি পরিমাণে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।