কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য যেসব পেশা হারিয়ে যাবে, জানুন বিস্তারিত।

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া, গুগল, ইন্টারনেটের সর্বত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর চর্চা হয়ে চলেছে। সাধারণ মানুষ যে কাজ করতে বেশ অনেকটা সময় নেয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেই কাজ মাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই করে দেয়। এজন্য অনেকেই বিকল্প হিসেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কথা মনে করছেন।

মনে করা হচ্ছে যে সারা বিশ্বজুড়ে আগামী 5 বছরে মোট এক কোটি 40 লক্ষ মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে কাজ হারাতে চলেছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর একটি সমীক্ষা অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছর সারা বিশ্বে চাকরির বাজারে চলবে মন্থন। বহু মানুষ কাজ হারাবেন আবার নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে।

ধারণা করা যাচ্ছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে দশটি পেশার মানুষের কাজ হারাতে চলেছে। যত সময় এগোচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ততই বেড়ে চলেছে। আর সে কারণেই কাজ হারাতে চলেছেন বহু মানুষ।

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার কর্মী ছাটাই শুরু হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার অনেকটা সুবিধাজনক হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মানুষের কায়িক পরিশ্রম এর মাত্রা অনেকটাই কমতে চলেছে।

গবেষকদের মতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে যেমন নতুন কর্মী নিয়োগ করা হবে ,তেমন পুরনো অনেক কর্মীদের সেখানে ছাটাই করে দেওয়া হতে পারে।

ব্যাংকের চাকরির ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি বড় প্রভাব পড়তে পারে বর্তমানে অনলাইন ব্যাংকিং এর সুবিধা থাকায় বেশিরভাগ মানুষই ব্যাংকে যান না ।তারা অনলাইনের মাধ্যমে কাজকর্ম করে ফেলেন ।তবে ধারণা করা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জন্য কয়েক বছর পর থেকে যেকোনো কাজের জন্যই ব্যাংকে গিয়ে সশরীরে কোন কাজ করার দরকার পড়বে না।

ডাটা এন্ট্রি কর্মী, ক্যাশিয়ার, পোস্টাল সার্ভিস ক্লার্ক, হিসাব রক্ষক ইত্যাদির আর কোন দরকার পড়বে না আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে। এবার থেকে এই সমস্ত কাজ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে করে নেওয়া হতে পারে।

ধারণা করা যাচ্ছে যে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রায় ৮ কোটি ৩ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *