এখনকার ব্যস্ত জীবনে সময় কম থাকলেও বর্তমান প্রজন্ম রীতিমতো চেষ্টা করে নিজেকে সুস্থ রাখার, ফিট রাখার।কম বয়স থেকেই মেপে খাওয়াদাওয়া, বাইরের খাবার কম খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা, উৎসব-অনুষ্ঠান ছা়ড়া মদ্যপান না করা, চিনি থেকে শতহস্ত দূরে থাকা—ইত্যাদি সবকিছুই করেন এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। কিন্তু এগুলি করেও সুস্থ থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে এখন উপায়? সেই উপায়গুলো নিয়েই বলতে এসেছি আজ। দেখে নিন।
১) সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত কী কী করলেন, চোখ বন্ধ করে ভাবুন। মাঝেমাঝে দিনের শেষে এসে দিনের শুরুটা ফিরে দেখা জরুরি। নিবিষ্ট মনে ভাবলে অনেক ভুল, ত্রুটি, খারাপ লাগা, ভাল লাগার সন্ধান পাবেন। সেগুলি জানা থাকলে পরের দিন একই ভুল করার আগে দু’বার ভাববেন। দৈনন্দিন জীবনে ভুলের পরিমাণ যত কমবে, ভয়, চিন্তাভাবনাও তত কম হবে।
২) সকালে ঘুম থেকে উঠেই মাথাটা অফিসের মেল, গুচ্ছ মেসেজ, ফোন দেখতে এগিয়ে যায়। অফিসে গিয়ে সারা দিন চোখ থাকে ল্যাপটপে। ফেরার পথেও ভিড় বাসে, মেট্রোয় ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ঘেঁটে নেওয়া। সারা দিন এইভাবেই কেটে যায়। এতটা যান্ত্রিক না হয়ে বই পড়া অভ্যাস করুন। যোগাসনের অভ্যাস করুন। এতে আপনার মন, মস্তিষ্ক এবং শরীর— সব কিছু সুস্থ এবং শান্ত থাকবে। মানসিক অস্থিরতাও কমবে। মনোযোগ বাড়বে।
৩) পরের দিনের যাবতীয় পরিকল্পনা আগের দিন সন্ধ্যায় করে রাখতে পারেন। তাতে সকালে উঠেই ব্যস্ত হতে হবেনা। তাড়াহুড়োয় অনেক সময় ঠিক করে খাওয়া হয় না, অফিস যেতে দেরি হয়ে যায়, কাজ নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করা হয় না। দিনের শেষে তাতে মানসিক চাপ বাড়ে।
৪) সারা দিনের কর্মরত জীবনে শুধু কাজ নয়, চিন্তা, উদ্বেগ তো থাকেই। নিজের মনকে শান্ত করতে ধ্যান করার অভ্যাস করুন। এতে মানসিক ক্লান্তি ভুলে যাবেন।
৫) সন্ধে ৭টার পর থেকে নিজেকে সময় দিন। নিজের যত্ন নিন। রূপচর্চা করুন, স্কিন কেয়ার করুন। নিজেকে সময় দেওয়া মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার সবচেয়ে বড় ওষুধ।