গত এক বছর ধরে সারা বিশ্বসহ ভারতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে চর্চা রয়েছে চরমে। কোডিং, লেখালেখি, ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে আরো বহু কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। তবে সম্প্রতি একটি খবর পাওয়া গেছে যেটি শুনে স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেকের অবাক হওয়ারই কথা! এবার সামরিক ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
ফাইটার জেট বা ড্রোন, যেকোনো টার্গেটকে ধ্বংস করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করল ইজরায়েল সেনা। তাছাড়া এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সটি নিজে থেকেও অস্ত্র লোড করতে পারবে।
এর আগে রোবট বা সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে শত্রুসংহারের অনেক উদাহরণ সিনেমার মাধ্যমে আমরা অনেকেই দেখেছি। তবে এবার বাস্তবেও এর ব্যবহার শুরু হতে চলেছে। নতুনের প্রযুক্তির ফলে যুদ্ধ আরো ভয়াবহ এবং ধ্বংসাত্মক রূপ নিতে পারে।
ইসরাইল সেনা সম্প্রতি বিমান হামলায় টার্গেট ঠিক করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিচ্ছে। তাছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাবারুদ এবং রসদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই প্রযুক্তির ওপর ভরসা রাখছে ইসরাইল দেশ।
ইরানের সাথে ইসরাইল দেশের বিবাদ চলছে গত কয়েক বছর ধরে। যে কোন মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে বিধ্বংসী যুদ্ধ লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির ব্যবহার ইসরাইলকে ইরানের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রাখবে বলে দাবি করছেন অনেকেই।
ইসরাইল সেনার একজন কর্তা বলেন যে, তারা বিমান হামলাকে আরো নিখুঁত করার জন্য আর্টিফিশিয়াল প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। তাছাড়া টার্গেট যদি ভুল জায়গায় নির্বাচন হয় বা টার্গেট লক্ষ্যছুট হয়, সে ক্ষেত্রেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সই তাদেরকে পথ দেখাবে।
নতুন এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে ফায়ার ফ্যাক্টরি প্রযুক্তি। বিমান এবং ড্রোনেও ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি। নিজে থেকেই যুদ্ধাস্ত্র লোড করতে পারবে বিমান এবং ঘাতক ড্রোনগুলি।
যেকোনো জায়গায় হামলার ক্ষেত্রে সাধারণ সৈনিকের থেকে আরো ভালো কাজ করতে পারবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। যেমন একটি বড় সেতুকে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করার জন্য সাধারণ মানুষের দুটি মিসাইল ব্যবহার করতে হতে পারে। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স একদম নিখুঁত বিশ্লেষণ করে একটি মাত্র মিসাইল এর সাহায্যে সমস্ত সেতুটিকে ধরাশায়ী করার ক্ষমতা রাখে।