মহাকাশ নিয়ে মানুষের অনেক অনেক জিজ্ঞাসা। ছোটো থেকেই মানুষ জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে থাকে মহাকাশের দিকে। আকাশের বুকে ওড়ার জন্য মানুষ উড়োজাহাজ বানালো। মহাকাশযাত্রার জন্য বানালো রকেট। মানুষ একে একে চাঁদে গেল, মঙ্গল গ্রহে যাত্রা করলো। এর মধ্যেই ‘নতুন পৃথিবী’ আবিষ্কার করলো নাসার বিজ্ঞানীরা। জানুন বিশদে।
বিজ্ঞানীরা তথা মানুষ চিরকালই ভেবে এসেছে পৃথিবীর বাইরেও মহাকাশের নিশ্চয়ই পৃথিবীর মতো কোনো গ্রহ আছে যেখানে মানুষের মতো প্রাণী আছে, জীবজগত আছে, জল আছে, প্রাণ আছে অন্যান্য প্রাণীর। কিন্তু কোথায় সেই গ্রহ বা কোথায় সেই নতুন প্রাণীমণ্ডলের অস্তিত্ব তার খোঁজ জানা না থাকায় কিছুই করা যাচ্ছিল না। শেষমেশ নাসার বিজ্ঞানীদের হাত ধরে কিছুটা হলেও এই খোঁজ; এই জিজ্ঞাসা শান্ত হতে চলেছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা মহাকাশ তথা সৌরজগতের মধ্যে ঠিক এরকমই পৃথিবীর মতো গ্রহ খুঁজে পেয়েছিলেন যেখানে মানুষের মতো প্রাণী আছে, জল আছে, শ্বাসবায়ু আছে, জীবজগত আছে। কিন্তু কথায় আছে ‘জ্ঞান এমন এক খিদে যা মেটে না’! সুতরাং আবারও চললো খোঁজ আর মহাবিশ্বের এক নক্ষত্রের গ্রহের মধ্যে ফের একবার এরকম গ্রহের সন্ধান নাসার বিজ্ঞানী পেলেন যা পৃথিবীর মতো।

মজার ব্যাপার হলো এটাই যে নক্ষত্রটি থেকে এই পাথুরে গ্রহটির দূরত্ব ঠিক ততটাই যতটা সূর্যের থেকে পৃথিবীর দূরত্ব। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে এই গ্রহে জল থাকতে পারে এবং জল থাকলেই সেই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে এমন ধারণা করাই যায়।
তবে এখনো অবধি গ্রহটিকে শুধুমাত্র চিহ্নিত করা গেছে। এই গ্রহের বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া সম্ভব হয়নি কারণ গ্রহটির দূরত্ব অনেকটাই। গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘TOI 700E’! এই গ্রহের সন্ধান দিয়েছে নাসার পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ।
এই গ্রহটি বর্তমানে বাসযোগ্য অবস্থানে রয়েছে। গ্রহটি তার নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে মাত্র ২৮ দিনেই। যেখানে পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা লেগে যায়। এখন এই গ্রহে প্রাণ মেলার আশায় বুক বাঁধছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।