National Sports Day: জাতীয় ক্রীড়া দিবস নিয়ে কিছু জানা অজানা তথ্য আপনাদের জন্য

ক্যালেন্ডারের হিসেব বলছে, সাল ১৯২৮। বিশ্বের দরবারে অলিম্পিকের মহাযজ্ঞে সেরার শিরোপা পেল ভারতীয় হকি দল। কৃতিত্ব অর্জন করলেন মাত্র ২৩ বছর বয়সী ‘ধ্যানচাঁদ’। তারপর পরপর দু বছর! ১৯৩২ এবং ১৯৩৬। ভারতীয় হকি, তথা ক্রীড়া জগৎকে এক সম্মানীয় স্থানে উত্তীর্ণ করালেন তিনি। তিনবার একটানা এই মহাযজ্ঞে সোনা জয়, অলিম্পিকের ইতিহাসের অন্যতম বিরলতম ঘটনা।
সেই ধ্যানচাঁদেরই জন্মদিন ২৯ আগস্ট। তাঁর জন্মবার্ষিকীতেই প্রতি বছর উদযাপন করা হয় জাতীয় ক্রীড়া দিবস।

১৯০৫ সালে ২৯ আগস্ট, বর্তমান প্রয়াগরাজে (এলাহাবাদ) জন্মগ্রহন করেন এই ক্রীড়া কিংবদন্তী। খুব অল্প বয়সেই ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগদান করেন ধ্যান সিংহ। সেখানেই তাঁর হকি খেলায় হাতে খড়ি হয়। সারাদিন কাজের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর, তিনি রাতে ক্রীড়ার অনুশীলন করতেন। রাতে অনুশীলন করবার দরুন তিনি বন্ধুদের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘চাঁদ’ নামে। এইভাবেই তাঁর ধ্যান সিংহ থেকে, ‘ধ্যানচাঁদ’ (Dhyanchand) হয়ে ওঠার সফর শুরু হয়।

ধ্যানচাঁদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ঘটনটি ঘটে ১৯২৮ সালে। আমস্টারডাম অলিম্পিক্সে তিনি ছিলেন দলের সেন্টার ফরওয়ার্ড। পাঁচটি ম্যাচে, ১৪ টি মত গোল করে নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন ‘চাঁদ’। দেশকে সোনায় মুড়ে রাখার অধ্যায় শুরু হয় তাঁর হাত ধরে। তার পরবর্তী, ১৯৩২ সালের অলিম্পিকে, লস অ্যাঞ্জেলসের আমেরিকাকে হারিয়ে সর্বোচ্চ পদের অধিকারী হয় ভারত। এই খেলায় ভারত করেছিল প্রায় ৩৫টির মত গোল, যার বেশিরভাগই করেছিলেন ধ্যানচাঁদ।

বিখ্যাত এই কিংবদন্তী হকি খেলোয়াড়কে, ১৯৫২ সালে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মানে ভূষিত করা হয়।। প্রকাশ পায় তাঁর আত্মজীবনী ‘গোল’। অবসরপ্রাপ্ত হয়ে, তিনি রাজস্থানের হকি দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।

ভারতের ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার হল, তাঁর নামাঙ্কিত ‘ধ্যানচাঁদ’ পুরস্কার।

Scroll to Top