ভারতীয় নাগরিক হলে মশার সাথে পরিচিত নন, এমন মানুষ পাওয়া যাবেনা। মশার অত্যাচারে শুধু যে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে তাই কিন্তু শুধু নয় বরং মশার কামড় থেকে ছড়ায় বিভিন্ন রোগ যা কিনা প্রাণও নিতে পারে। তাই মশাকে দূরীভূত করতে মানুষের চেষ্টার শেষ নেই। তবে রাসায়নিক উপায় ছাড়াও কিছু প্রাকৃতিক উপায়েও আপনি মশার হাত থেকে বাঁচতে পারেন। সেসব হদিস পেতে চাইলে পড়ুন এই প্রতিবেদনটি।
১) ল্যাভেন্ডার:
এই গাছ আপনার বাগানের শোভা বৃদ্ধি করে এবং এর অদ্ভুত গন্ধের কারণে কাছে আসে না কোনও পতঙ্গ। এমনকি, বাড়িতে ইঁদুর থাকলে, সে-ও এই গাছের ক্ষতি করেছে বলে কখনও শোনা যায়নি।
এই গাছের পাতায় রয়েছে এমন অদ্ভুত গন্ধ, যার জন্য ভুলেও মশা কিংবা অন্য কোনও কীট ধারকাছে আসে না। গবেষকরা বলেন যে, মশা এই গাছের কাছে এলে তার গন্ধের অনুভূতি নষ্ট হয়ে যায়। এই গাছের বেশি যত্নের প্রয়োজন নেই। সবসময় রোদ আসে এমন জায়গায় রাখবেন এই গাছ।
২) লেমনগ্রাস:
এই গাছে রয়েছে সিট্রানেলা তেল। এই তেলের তীব্র গন্ধে মশা, মাছির মতো অন্যান্য পোকামাকড়ও দূরে থাকে।এমনকি বাড়িতে ইঁদুরের উপদ্রব থাকলেও এই গাছ রাখতে পারেন। আবার এর ঔষধি গুণ ও আছে তাই চা’য়ের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
৩) গাঁদা:
গৃহস্থ বাড়িতে এই গাঁদা গাছ অতিপরিচিত একটি গাছ।এর ফুল দিয়ে পুজো থেকে শুরু করে অনুষ্ঠান সম্পন্নের মতো সব কাজ হয়। এই ফুলে রয়েছে এমন এক ধরনের গন্ধ, যা মশাদের বিকর্ষণ করে। ঘরে প্রবেশ করার মুখে ছোট টবে রাখতে পারেন এই গাছ। কেবল মশাই নয়, এই গাছ থাকলে পিঁপড়ে, মাছি বা গাছের পাতা খেয়ে নেয় এই ধরনের কোনও পোকাও এসে বসে না।
৪) রোজ়মেরি:
মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর রোজ়মেরি গাছ। এই গাছ এক ধরনের ভেষজ গুল্ম। শুধু যে এর গন্ধে মশা পালায় তাই নয় বরং সেই সঙ্গে মাছি, মথের উপদ্রবও কমে। গরম ও আর্দ্র পরিবেশেই এই গাছ সবচেয়ে ভাল থাকে।
৫) পুদিনা:
পুদিনাও একটি অতিপরিচিত গাছ। পুদিনার ভেষজ গুণ প্রচুর। পুদিনাপাতার গন্ধে মশা, মাছি দূরে থাকে। শুধু তা-ই নয়, অন্যান্য পোকামাকড়ও এই গাছের আশপাশে ঘোরাফেরা করে না। সূর্যের আলো পড়ে, এমন জায়গায় এই গাছ রাখুন।