গতকাল অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Death Of Queen Elizabeth II of England)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। বহুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন এবং স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে (Balmoral Castle in Scotland) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ দেহত্যাগ করেন। সমগ্র ইংল্যান্ড তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। তিনি প্রায় ৭০ বছর ইংল্যান্ডে রাজত্ব করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। রানীর মৃত্যুর পর দেশের হয়ে ভাষণ দিলেন রানীর বড় ছেলে রাজা তৃতীয় চার্লস (King Charles III)।
বৃহস্পতিবার সকালে একটি মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং তারপরই চিকিৎসকরা রানীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। রানীকে বিশেষ তত্বাবধানের মধ্যে রাখা হয়েছিল। খবর শুনে রানীর সন্তানরা ছুটে আসেন মা তথা রানীকে দেখার জন্য। প্রতিবেদন অনুসারে, বালমোরাল ক্যাসেলে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে ছিলেন রানীর মেয়ে প্রিন্সেস অ্যান ও রানীর কনিষ্ঠ পুত্র প্রিন্স এডওয়ার্ড সহ মোট চার সন্তানই উপস্থিত ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হলো না। বহুদিন রোগে ভোগার পর তিনি মৃত্যু বরণ করলেন। মরণ কালে রানীর বয়স হয়েছিল ৯৬।
দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ইংল্যান্ডের রাজা হন তাঁরই জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রিন্স চার্লস। বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৩। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। ৯ই সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ প্রিন্স চার্লস বালমোরাল থেকে ফিরে এসেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে প্রথম বৈঠক সেরেছেন। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন রানী এলিজাবেথ এবং এটি ছিল রানীর শেষ আনুষ্ঠানিক ক্রিয়া।
রাজা তৃতীয় চার্লস উত্তরসূরি হিসাবে ১৪টি কমনওয়েলথ রাষ্ট্রের প্রধান হয়েছেন। মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, “প্রিয় মায়ের মৃত্যু ছিল তাঁর জন্য এক বড় দুঃখের মুহূর্ত।” একটি বিবৃতি জারি করে তৃতীয় চার্লস বলেন, “একজন প্রিয় রানি এবং প্রিয়তম মায়ের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি জানি সারা দেশ, রাজ্য ও কমনওয়েলথ, এবং সারা বিশ্বের অগণিত মানুষ তার মৃত্যুকে গভীরভাবে অনুভব করবেন।”