“পায়ে পড়ি বাঘ মামা, করো না তো রাগ মামা…” গরমের কাছে তাঁর গরজ এতই প্রকট যে তাঁর সেবা যত্নের জন্য কোনওরকম কোনও ত্রুটি রাখছে না চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। রয়াল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। বাংলার জাতীয় পশু। মূলত সুন্দরবন অঞ্চলেই দেখা মিলত এই মহাশয়দের। তারপর সেখান থেকে সংগ্রহ করে দেশ বিদেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় ঠাঁই পান বাঙালির এই প্রিয় বাঘ মামারা। কিছু অনিষ্টকারী চোরা শিকারিদের কারণে ইতিমধ্যে বেশ সংখ্যা লঘু হয়ে পড়েছে রয়াল বেঙ্গল টাইগার। এই ঘটনার হেতু বাঘেদের রাজা হয়ে বিশেষ স্থানে বিরাজ করলেও করলেও, তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এই বাঘেদের থাকার ব্যবস্থা করেছে চিড়িয়াখানায়।

এই মুহূর্তে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ দেশবাসী। সাহারা, থরের উত্তাপের তাপমাত্রার দৌড়ে কেউ কখনও তাদের টেক্কা দিতে পারেনি। বরং সর্বোচ্চ উত্তপ্ত স্থান বললে তারাই থেকেছে শিখরে। কিন্তু এইবারে সেই রেকর্ডও চুর্ন হয়েছে। কলকাতার তাপমাত্রা ছাপিয়ে গেছে সাহারা এবং থরের মত তীব্র উত্তপ্ত স্থানগুলিকে। পরিবেশবিদরা এর মূলে অত্যধিক গাছ নিধনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। এর ফলে গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা প্রাণী জগতের। মানুষ তাঁর উন্নত প্রযুক্তির কৌশলে অনেক অংশে রক্ষা পেলেও, অবলা পশু পাখিদের পড়তে হচ্ছে সূর্য দেবের রোষের মুখে। তাই চিড়িয়াখানাগুলি তাঁদের অধীনে থাকা পশুগুলির জন্য বিশেষ যত্নশীল হচ্ছে।

প্রশ্ন যেখানে রয়াল বেঙ্গল টাইগারের মত রাশভারী প্রাণীর যত্নের প্রসঙ্গে, সেখানে তাঁদের জন্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। চিড়িয়াখানাগুলিতে তাঁদের চানের জন্য দেওয়া হচ্ছে বড় বড় বরফের টুকরো। এমনকী পানীয় জলের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে নুন চিনির জল অথবা ORS। তাঁদের বাসস্থানে বসানো হয়েছে এয়ারকুলার। একটি দুটি নয়, বেশ একাধিক বাতানুকুল যন্ত্রের সংস্পর্শে রাখা হয়েছে বাঘগুলিকে। তাঁদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ‘মনিটরিং’ এ রয়েছেন চিকিৎসকের দল। বাঘেদের খাদ্যাব্যাবস্থাতেও করা হয়েছে বিশেষ পরিবর্তন।
