লিথিয়াম খনির হাত ধরেই কি আগামী 50 বছরের মধ্যে কার্বন মুক্ত করা যাবে ভারতকে? কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?

দামি ধাতুগুলির মধ্যে অন্যতম একটি ধাতু হলো লিথিয়াম। মূলত বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, গাড়ির ব্যাটারি ইত্যাদি তৈরি করতে লিথিয়াম ধাতুটির ব্যবহার করা হয়। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে ভারতের সম্প্রতি একটি লিথিয়ামের বড় খনি আবিষ্কার করা হয়েছে। এই খনির জেরেই বদলে যেতে পারে ভারতের ভবিষ্যৎ।

লিথিয়াম এর প্রধান ব্যবহার হয় ব্যাটারি শিল্পে। চাহিদা যেমন বেশি তেমন এর দামও অনেক বেশি। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি মোবাইল থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, গাড়ি, ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি সব ক্ষেত্রেই লাগে। ভারতের লিথিয়াম এর অভাবের জন্য আগে বিদেশ থেকে এই ধাতু আমদানি করা হতো। এর জন্য ব্যাটারি, মোবাইল, ল্যাপটপ এগুলোর দাম অনেকটা বেশি হয়। লিথিয়াম খনি আবিষ্কার হবার ফলে প্রযুক্তির দিক থেকে ভারত অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

লিথিয়াম ব্যাটারির গাড়ি ভারতের বাজারে চালু করা হলে পরিবহন ক্ষেত্রে জোয়ার আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চলে এসেছে। এই গাড়িগুলির ব্যবহারের ফলে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড এর মত ক্ষতিকারক গ্যাস গুলি কম মিশছে।

লিথিয়াম ব্যাটারির গাড়ি গুলিতে জ্বালানি পুড়িয়ে শক্তি উৎপন্ন করা লাগে না ।সেজন্য ধোঁয়া বের হয় না এবং পরিবেশ দূষণ অনেকটা কম হয়। তবে লিথিয়াম ব্যাটারির গাড়ি কেনা বেশ খরচ সাপেক্ষ। কারণ যে ব্যাটারির সাহায্যে এই গাড়িগুলি চলে সেগুলিতে লিথিয়াম ব্যবহার করা হয় এবং লিথিয়ামের দাম অনেক ভারতের বাজারে। লিথিয়াম আসে বাইরের দেশ গুলি থেকে, সেই জন্য লিথিয়ামের দাম অনেকটাই বেশি হয় আমাদের দেশে।

তবে সম্প্রতি ভারতেই লথিয়াম এর বিপুল সম্ভারের খনি আবিষ্কার হবার পর ভারতের বাজারে যদি লিথিয়াম ব্যাটারির গাড়ি চালু করা হয়, তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে আগামী 50 বছরের মধ্যেই ভারতকে কার্বন মুক্ত করে ফেলা সম্ভব। বাতাসে কার্বন কর্নার উপস্থিতি একেবারেই কমিয়ে ফেলা যাবে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহারের ফলে।
 

লিথিয়ামের খনি আবিষ্কার হবার ফলে কর্মক্ষেত্রেও জোয়ার দেখা দিতে পারে। ইলেকট্রিক ডিভাইস যেমন মোবাইল, ল্যাপটপ,কম্পিউটার, ব্যাটারি ইত্যাদি জিনিস গুলির দাম অনেকটা কমে যেতে পারে ।এছাড়া ভারতের বাজার থেকে যদি বাইরের কোন দেশে লিথিয়ামের রপ্তানি করা হয়, সে ক্ষেত্রেও অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারতের হাল আরও মজবুত হবে।

Scroll to Top