পোলাও হোক কিংবা হোক ফ্রায়েডরাইস বা হোক অন্য কোনো রান্না, কিশমিশ দিলে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়। মায়ের হাতের পায়েস তো কিশমিশ ছাড়া ভাবাই যায়না। কিশমিশ ছাড়া কোনও ভাবেই পায়েসের স্বাদ আসে না। এছাড়াও একাধিক মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই কিশমিশ। ড্রাই ফ্রুটস হিসেবেও গুরুত্ব রয়েছে কিশমিশের।
এহেন কিশমিশ ত্বকের জন্যও যে উপকারী তার ব্যাপারে জানতেন কি? আঙ্গুর শুকিয়ে মিষ্টি স্বাদের এই কিশমিশ তৈরি হয়। এর গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন এই প্রতিবেদন মারফত।
কিশমিশের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন B6, Calcium, Pottasium, Copper এবং থাকে প্রচুর পরিমাণে Antioxidants! এই কারণে প্রতিটি মানুষের নিয়মিত ৩-৪ টি কিশমিশ খাওয়া জরুরি।
কিশমিশের মধ্যে রয়েছে Antibacterial গুণাগুণ। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ Vitamin-E যা শরীরের অবাঞ্ছিত ফ্যাট কমায়। এছাড়া কিশমিশ আমাদের ত্বক ও চুলের যত্নে ভীষণ উপকারী।
তবে কিশমিশ খুব বেশি খাওয়া কিন্তু ভালো না। তাতে বেড়ে যেতে পারে সুগার। এছাড়াও Hormone এর কমা বা বৃদ্ধি পাওয়াতে হতে পারে নানা সমস্যা এমনকি PCOS এর মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
রোজ কিশমিশ সরাসরি না খেয়ে কিশমিশ ভেজানো জল খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত হয় এই কিশমিশের গুণে। সেই সঙ্গে পিরিয়ডের সময় ক্র্যাম্পের সমস্যাও অনেক কম হয়।
ত্বকের জন্যও খুব ভাল কিশমিশ। প্রতিদিন ১৫০ গ্রাম কিশমিশ দুই কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এবার এই জল ছেঁকে নিয়ে তা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। তবে কিশমিশ সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে।
কিশমিশ ভেজানো জল দিয়েই বানিয়ে নিন ফেসপ্যাক। এর মধ্যে চালের গুঁড়ো, মধু, সামান্য গোলাপ জল আর লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার তা মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিন।
এছাড়াও এই ভেজানো কিশমিশ, বেসন, টকদই আর এক-দুটো জাউরান একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে মালিশ করলে ত্বকের জেল্লা ফেরে। সেই সঙ্গে আর মুখে থাকে ফেশিয়ালের এফেক্ট।
কিশমিশের প্রচুর গুণাগুণ। ব্যবহার করে দেখবেন অবশ্যই তবে ত্বকে কিশমিশ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।