বিরোধী দলকে নিজের অকাট্য যুক্তি দিয়ে দমিয়ে দেওয়া হোক, কিংবা অসহায় মানুষের ভরসার কাঁধ হওয়া! যুব বামনেতা শতরূপ ঘোষ বাংলা রাজনীতির অন্যতম এক আলোর দিশারী। আবালবৃদ্ধবনিতা মজেছেন শতরূপের আদর্শে। বাম নারিহৃদয় তো বটেই, এমনকি প্রতিপক্ষ নারীদের হৃদয়ও জিতে ফেলেছেন শতরূপ। সম্প্রতি তিনি প্রজাপতি ঋষির আশীর্বাদ প্রদত্ত হলেন। বিয়ের ফুল ফুটেছে তাঁর আঙিনায়। আবদ্ধ হয়েছেন প্রিয়তমা পহেলি সাহার সঙ্গে। কিন্তু তাঁদের একটি বিয়ের ছবিই হয়ে উঠল সামাজিক মাধ্যমে হাসির খোরাক।
গত রবিবার, আনন্দপুরের বিষ্ণু বিজলী গার্ডেন্সে চির বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তরুণ নেতা শতরূপ। তাঁর স্ত্রী পহেলি, টলিউডের এক বিখ্যাত সংস্থার জনসংযোগের নিয়ন্ত্রক। তাঁদের বিয়েকে কেন্দ্র করে উপস্থিত ছিলেন নেতা মহল থেকে রুপোলি পর্দার অনেকেই। অভিনেত্রী ঊষশী চক্রবর্তী বাম অনুসরণকারী হওয়ার দরুন তিনি শতরূপের বেশ ঘনিষ্ঠ। আবার টলিউডের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে পহেলিরও। তাই তিনি দু তরফ থেকেই নিমন্ত্রিত ছিলেন।
নিমন্ত্রিত ছিলেন বামপন্থী অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। বলা বাহুল্য, শতরূপের বিবাহকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে শ্রীলেখার একের পর এক কাণ্ড হয়ে উঠেছে হাসির খোরাক। প্রথমে তিনি জানান, বিয়েবাড়ি যাওয়ার জন্য তাঁর গাড়ির ‘ড্রাইভার’ প্রয়োজন। কিন্তু সকলে ব্যস্ত থাকায় তিনি কাউকে খুঁজে পাচ্ছেন না। ফলে অসম্পূর্ণ মেকাপ করেই তিনি তাঁর এই ‘দুঃখ’ প্রকাশ করছেন সামাজিক মাধ্যমে। তার সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, শতরূপকে বর-বেশে দেখতে না পারার দুঃখ তাঁর থেকে যাবে।
বিবাহ মণ্ডপে শ্রীলেখা উপস্থিত না থাকলেও, তাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি হাসির মুহুর্ত, এবং অভিনেত্রী স্বয়ং তাতে বেশ ইন্ধনও যুগিয়েছেন। বিবাহ মণ্ডপে শতরূপের পাশে তাঁর স্ত্রী পহেলির একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে, এক নেটিজেন লেখেন, তিনি শতরূপের স্ত্রী’কে প্রথমে শ্রীলেখা মিত্র ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে সত্যিটা জানতে তাঁর ভুল ভেঙে যায়। নিজের ভুল শুধরে নিয়ে সেই নেটিজেন নব দম্পতির উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তাও প্রকাশ করেন। পোস্টটি চোখে পড়ে স্বয়ং শ্রীলেখার। তিনি আবার পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে পাল্টা পোস্ট করে ঘটনাটির মজা নেন, এবং তিনি আরও কৌতুকের সঙ্গে যোগ করেন, তাঁকে যে এই বয়েসেও কেউ বিয়ের জন্য যোগ্য মনে করছেন, তাতেই অভিনেত্রী অবাক! তাঁর এই পোস্ট জুড়ে হাসির উদ্রেক ঘটে নেট মহলে। অভিনেত্রীর রসিকতা বেশ সকলেই উপভোগ করেছেন।