মেয়েদের স্বাধীনতা মানেই, পুরুষের সমকক্ষ হয়ে ওঠা নয়! বরং আপন লক্ষ্যে স্বতন্ত্র হয়ে ওঠা, প্রমাণ করবেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী

‘এবার পুজোয় পেট পুজো করতে বৌদি ক্যান্টিনে যাওয়া মাস্ট!’বেশ কিছুদিন ধরেই এমন ঘোষণায় মেতে উঠেছিল নেটপাড়া। ভাবছেন, কে করেছিল এমন আবেদন! আর বৌদি ক্যান্টিনটাই বা কোথায়? এর উত্তর খুবই সহজ। ‘বৌদি ক্যান্টিন’ হলো অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় আসন্ন ছবি, যা মুক্তি পাবে বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর সময়।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এই ছবির ট্রেলার। একবারে ঠক ভাঙা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী যদিও প্রায় কয়েক বছর ধরেই তাকে এমন বিভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্ট করতে দেখা যাচ্ছে চরিত্রের বিষয়ে। এবারে তিনি পৌলমী নামক এক গৃহিণীর চরিত্রে আছেন, যিনি পারিবারিক প্রত্যাশায় হয়ে উঠেছেন স্কুল শিক্ষিকা। কিন্তু তাঁর নিজস্ব একটি ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার জগৎ আছে। এবং সেই ইচ্ছেটি হল তথাকথিতভাবে সমাজের অন্যতম ‘প্রান্তিক’ ইচ্ছে, রান্না করা। ‘রান্না করা’ শুনলেই আমরা খুব সহজে সেই মানুষটিকে কোণঠাসা করে তুলি। ভাবি, সমাজে
তাঁর আর কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। যে খাদ্যগ্রহণ আমাদের বেঁচে থাকার অঙ্গ, সেই খাদ্য প্রস্তুতকারীকে আমরা ভালো চোখে দেখি না। বরং কোন গৃহবধূ রান্না করলে তাকে ‘আধুনিক’ বলে আখ্যা দিতে আমাদের সমস্যা হয়। আমরা চাই নারী আধুনিক হবে মানে যেন, পুরুষের সমকক্ষ হবে! কখনও চাইনা নারী স্বতন্ত্রভাবেই নিজের মতো প্রতিষ্ঠিত হোক! পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দেওয়াতে গিয়ে আমরা নারীদেরকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চালনা করতে বাধ্য হই। আর এখানেই প্রশ্ন করেছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী তাঁর অভিনীত চরিত্রের মধ্য দিয়ে।

শুভশ্রী

এই ছবিতে পার্শ্বভূমিকায় রয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী এবং অনুসূয়া মজুমদারের মতো তাবড় তাবড় অভিনেতা অভিনেত্রীরা। রান্না করেও যে নিজের ইচ্ছে পূরণের সঙ্গে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়, তারই একটি দলিল হয়ে থাকবে ‘বৌদি ক্যান্টিন’ ছবিটি। বলা বাহুল্য, এটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে। আসমা খান নামে এক গৃহিণীর ইচ্ছে ছিল রান্না করা। তিনি তাঁর ইচ্ছেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন বিদেশের বুকে গিয়ে। অসংখ্য রেস্তোরাঁর মালিক হয়ে উঠেছেন তিনি। এখন তাঁর হাতের জাদুতে দেশ তো বটেই, বিদেশও মোহিত হয়ে ওঠে।

Image Courtesy: Shubhashree Ganguly Instagram Account

Scroll to Top