‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা…’ চুল, আমাদের শরীরের এমন এক অংশ, যাকে নিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন থাকি। কীভাবে চুলকে ভালো রাখা যায়, কীভাবে চুল যাতে নিষ্প্রাণ না হয়ে পড়ে, রুক্ষ শুষ্ক চুলের যত্ন নিয়ে তাকে পুনরায় প্রাণবন্ত করা যায়, এমন বিভিন্ন ধরনের চিন্তাকে কেন্দ্র করে চুলকে ঘিরে, আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে থাকি। তবে চুলকে ভালো স্বাস্থ্য প্রদানের জন্যও তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়। আপনার চুলের স্বাস্থ্যও যদি মজবুত না হয়, যদি খুব সহজেই আপনার চুল ঝরে পড়ে এবং নিষ্প্রাণ হয়ে ওঠে, তাহলে আপনি অবশ্যই মেনে চলতে পারেন আজকের পর্বের প্রদত্ত কিছু উপায়।
চুল নিয়ে চিন্তা আমাদের সকলেরই। চুলের যত্নের জন্য আমরা নামী দামী নানারকম সামগ্রী ব্যবহার করে থাকি। তবুও মন মত ফলাফল পাই না। তাই বাড়িতেই মজুত এমন সহজলভ্য উপাদান দিয়েও আপনি আপনার চুলের যত্ন নিতে সক্ষম হবেন। চুলের বৃদ্ধি, ঘনত্ব, প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি নির্ভর করে চুলের কোষগুলির ওপর। এই কোষ যদি ঠিকমত পুষ্টি গ্রহণ করে, তবে চুলের স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে উন্নতি সাধন হয়। চাল, আমাদের গেরস্থলির অতি সহজলভ্য একটি উপাদান। এই চালের উপস্থিতিতে চুলের যত্ন নেওয়া বিশেষ সম্ভবপর হয়ে ওঠে। চালের মধ্যে সব ধরনের অ্যামিনো মিনারেলের আধিক্য থাকে। এই অ্যামিনো মিনারেল আমাদের চুলকে মজবুত করে এবং চুলের pH মাত্রা ঠিক রাখে। এই মাত্রা ঠিক রাখার জন্য আমাদের চুল রোদ, দূষণের হাত থেকে রক্ষা পায়। একটি ছোট্ট বাটিতে তিন চামচ চাল নিয়ে, তাতে এক কাপ জল মিশিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ চামচ নিয়ে মিশ্রিত করার পর, আধ ঘণ্টার জন্য মিশ্রণটিকে রেখে দিতে হবে। অপরদিকে আর একটি বাটিতে অল্প শ্যাম্পু নিয়ে, তাতে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে চালের জল মেশাতে হবে।
শ্যাম্পু এবং চালের জলের সঙ্গে আর একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান মিশ্রিত করতে হবে। তা হল পেঁয়াজ। পেঁয়াজ চুলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, খুশকির সমস্যাও দূরীকরণ করে। বাজার থেকে যেন লাল পেয়াঁজ বেটে, তার রস সেই মিশ্রণে মিশিয়ে নিতে হবে। ব্যাস, তৈরি ঘরোয়া উপায়ে আপনার চুলের যত্ন নেওয়ার মহৌষধ। স্নানের সময় পাঁচ ছমিনিট চুলের প্রতি অংশে নরম হাতে ঘষতে হবে এই মিশ্রণ। সপ্তাহ খানেক ব্যবহার করার পর, নিজের চোখেই দেখুন এক চমৎকার ‘ম্যাজিক’!