এক বিয়ের বেশে তরুণী, চারদিকে তাঁরই বিয়ের আয়োজন। তাঁর শরীরে এক একটি অলঙ্কারের সঙ্গে, সংযোজিত হচ্ছে এক একটি অত্যাচারের দাগ। আস্তে আস্তে কালসিটেগুলি যত গাঢ় হচ্ছে, অলঙ্কারের বহর তাকে তত ঢেকে দিচ্ছে। তরুণীর চোখে মুখে শঙ্কা, এক নিঃশব্দ আর্তনাদ। নতুন জীবনে প্রবেশ করতে না করতেই এক অজানা অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া! এই পেষণ থেকে মুক্তির জন্য বিস্ফোরিত হয়ে যাচ্ছে তাঁর নেত্রযুগল। তবুও সেই তরুণী মেনে নিচ্ছে সবটা। কেন মেনে নিচ্ছে? নাহ্, এ প্রশ্নই জিজ্ঞেস করা ‘পাপ’। আদতে এটি হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের আসন্ন সিরিজ, ‘সম্পূর্ণা’র প্রথম টিজার হলেও, এই প্রেক্ষাপট আমাদের অতি চেনা। একজন নারী, তথা বিবাহিতা নারীর প্রতি পরিচিত সামাজিক শোষণই, এই সিরিজের পটভূমি। বিবাহিত তরুণীর চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী দত্তের মেয়ে, রাজনন্দিনী পাল। সঙ্গে বিশেষ ভূমিকায় অভিনয় করছেন সোহিনী সরকার
সিরিজের নামটিও অর্থবহ। একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ নারীই হলেন, ‘সম্পূর্ণা’! কিন্তু তাঁর ‘সম্পূর্ণা’ হয়ে ওঠার পাথেয় মোটেই সুগম নয়। সামাজিক লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, অত্যাচার, শোষণ সবকিছুই এই পথের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে চলে। মুখ বুজে সহ্য করে যান নারীরা। বিশেষত বিয়ের পর এই পথের অমসৃণতা তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। বিবাহ পরবর্তী জীবনের প্রত্যেক মানুষ ভাবেন, নারী যেন সংসারের পুতুল! তাঁকে এই নিষ্ঠুর যাঁতাকলে পিষে নিঃশেষ করে দেওয়ার অধিকার যেন তাঁদের আছে। বিয়ে যেন, তাঁদের এই স্বৈরাচারের সবুজ সংকেত!
কিন্তু আর কতদিন! কতদিন নারীরা বিবাহ নামক পেষণে পিষতে থাকবে? এর কি মুক্তি নেই? সেই খোঁজই দেবে ‘সম্পূর্ণা’ ওয়েব সিরিজটি। সায়ন্তন ঘোষালের এই সিরিজ, ২৯ জুলাই হইচইয়ে মুক্তি পাবে।