কালিপুজোর (Kali Puja) সময়ই ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন (Super Cyclone) বাংলার বুকে! ২২০-২৫০ কিমি বেগে বইবে এই সাইক্লোন (Cyclone)! কতটা বিধ্বংসী (Devastating) ও সাংঘাতিক (Deadly) হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড় তা এর গতি দেখেই বোঝা সম্ভব।
বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হচ্ছে এই সুপার সাইক্লোন (Super Cyclone)। কালিপুজোর (Kali Puja) সময়ই আছড়ে পড়বে বাংলায়। ‘মার্কিন আবহাওয়া দপ্তর’ থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘সিত্রাং’ (Sitrang)।
আবহাওয়াবিদদের মতে, অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। দুটিই আগামী সময়ে সুপার সাইক্লোনের (Super Cyclone) রূপ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখনই কোনো সতর্কতাবার্তা দেয়নি ‘মৌসম ভবন’। আপাতত ১৭ তারিখের পরে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর’।
আপাতভাবে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গোটা দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বা হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে উত্তরবঙ্গে ও সিকিমে (Sikkim)। যার প্রভাবে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ৫টি জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং (Darjeeling), জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri), কালিম্পং (Kalimpong), আলিপুরদুয়ার (Aalipur Duar) ও কোচবিহারে (Coach Bihar) ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি বাড়তে পারে। অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুরেও। গবেষণা অনুযায়ী, আগামী ২৫ শে অক্টোবরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে এই সাইক্লোন! কোথাও বিক্ষিপ্ত, কোথাও বা ভারী বর্ষণ হতে পারে। সিকিমেও রয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
যদিও সেই দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সময় থেকে এভাবে বৃষ্টি হয়ে গেলেও চলতি বছরের বৃষ্টির ঘাটতি মেটেনি বলেই দাবি আবহাওয়া দপ্তরের। এখন আমাদের একটাই প্রার্থনা যেন সবাই নিরাপদে থাকেন ও সুস্থ থাকেন। ঝড়ে যেন কারো বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হয়!