নিয়ম না মানা হলে পরীক্ষা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি!


প্রায় দীর্ঘ ৬ বছর পর হতে চলেছে টেট (TET)। আগামী মাসেই এই পরীক্ষা হবার কথা। রেকর্ড সংখ্যায় এবছর আবেদনপত্র জমা পরেছে এই পরীক্ষার জন্য। বারংবার বদলেছে সিলেবাস (Syllabus), কড়াকড়ি এসেছে গাইডলাইনে (Guidelines)। পরীক্ষার ফলাফল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখার চেষ্টায় নেওয়া হচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ! এরই মধ্যে পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijeet Gangopadhyay)!


টেট (TET) পরীক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতি রুখতে বিচারপতি অভিজিৎ-ই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন বারবার। তিনি জানান যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে না। তিনি সোমবার অবধি দেখবেন, তার মধ্যে কোনো ঠিকঠাক পদক্ষেপ না নিলে তিনি পরীক্ষা বন্ধ করে দেবেন এমনটাই জানালেন। যাঁরা টেটে (TET) দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁরা বলেছেন যে ৮২ নম্বর পেলেও তাঁদের পাশ করানো হচ্ছে না। ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থী যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট-উর্ত্তীর্ণ ঘোষণা করলেও ২০১৪ তে পরীক্ষা দেওয়া প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি যা অনুচিত।


মামলাকারীদের দাবি, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে সংরক্ষিত বিভাগে (Reserved Category) পরীক্ষা দেওয়া বহু প্রার্থী ১৫০ এর মধ্যে ৮২ পেয়েছেন অর্থাৎ হিসেবমতো ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন তাঁরা যেটিকে ৫৫ শতাংশ নম্বর হিসেবেই গণ্য করা হবে এবং ৫৫ শতাংশ নম্বর পেলেই তাঁকে উর্ত্তীর্ণ ধরা হবে। আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের উর্ত্তীর্ণ প্রার্থীদের শংসাপত্র (Certificate) দিতে হবে এবং ৮২ নম্বর যাঁরা পাবেন তাঁদের সকলকেই টেট (TET) পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ বলেই গণ্য করতে হবে।


সেই নির্দেশ অনুযায়ী পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (Official Website) ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করে কিন্তু ২০১৪ সালের প্রার্থীদের ব্যাপারে তাঁরা নীরব থাকেন। এই বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয় এবং তারপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijeet Gangopadhyay) হুঁশিয়ারি দেন পরীক্ষা বন্ধ করে দেবার। তিনি জানান পর্ষদ নির্দেশ অনুসারে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছেন না।


সোমবার অবধি তিনি সময় দিয়েছেন পর্ষদকে। তার মধ্যেও কোনো পরিবর্তন নাহলে পরীক্ষা বন্ধ হতে পারে। আসন্ন টেট পরীক্ষার ভাগ্য এখন পর্ষদের হাতে। দেখা যাক শেষ অবধি কি হয়!

Scroll to Top