“অন্ধকারের উৎস হতে, উৎসারিত আলো..”! অথচ আজ সেই আলোই হল বিপথগামী

পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ কী জানেন? ভালো থাকা! আরও কঠিন কাজ হল, হাসি মুখে থাকা। এমনই এক অসাধ্য সাধন করেছিল Cheems। নাহ্, কোনও মানব প্রাণী নয়, Cheems হল এক সারমেয়। হংকং এর বাসিন্দা Cheems কে চেনে না, বা তাঁর কারণে হাসি ফোটেনি এমন মানুষ কম। গত ১৮ আগস্ট, সেই Cheems ই চিরতরে বিদায় নিল পার্থিব মায়া ত্যাগ করে। Cheems কে হারিয়ে, শোকস্তব্ধ সারা বিশ্ব।

২০১৭ সালে আপন মনে নিজের বাড়িতে বসেছিল Cheems। তাঁর মালিক, ক্যাথি সেই মুহূর্তেই একটি ছবি তোলে প্রিয় পোষ্যের। সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে, Cheems এর সেই অভিব্যক্তি নিমেষে ছড়িয়ে যায় এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। নেটিজেনরা পরিচিত হন তাঁদের সেই নতুন ‘meme material’ এর সঙ্গে। মুহূর্তের মধ্যে তৈরি হয়ে যায় সেই অভিব্যাক্তিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মিম টেমপ্লেট।

Cheems এর ছবি দেখে জনৈক নেটিজেন কমেন্ট করে জানান, সারমেয়টি একেবারে চিজের মত মিষ্টি। সেই চিজ কথাটি থেকেই তাঁর নেট মাধ্যমে তাঁর নাম হয়ে যায় Cheems।

অতিমারীর সময় যখন মানুষ এক দুর্বিষহ কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছিল, সেই সময় অনেক ক্ষেত্রে মানুষকে আনন্দ দিয়েছিল Cheems। তাঁর মুখমন্ডল ব্যবহার করে তৈরি হত অনেক মজার ভিডিও। তাই স্বভাবতই Cheems এর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউ।

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাতে হল বারো বছর বয়সী প্রানবন্ত প্রাণীটিকে। চলছিল সার্জারি। তার মাঝেই চিরতরে প্রিয়জনদের বিদায় জানালো Cheems। তাঁর মালিক সামাজিক মাধ্যমে এই খবর প্রকাশ করে লেখেন, Cheems এর জন্য যেন কেউ মন খারাপ না করেন। কারণ Cheems এর জন্ম হয়েছিল আনন্দ প্রদানের জন্য, এবং সেখানে সে সফল। এখন খালি একটিই প্রার্থনা, এক শান্তির পৃথিবীতে নিজের মত করে বাঁচুক Cheems। যেখানে দুঃখ নেই, যন্ত্রণা নেই, আছে কেবল তাঁর জন্য অপরিমেয় আনন্দ। নিজের পছন্দের সকল খাবার খেয়ে, এবং পছন্দের খেলা খেলে, ভালো থাকুক Cheems, চির ঘুমের দেশে…

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *