চলতি বছরে, মে মাসে জি বাংলায় শুরু হয় ‘লালকুঠি’ ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের প্রোমো থেকেই দানা বাঁধে রহস্য। সঙ্গে প্রিয় অনস্ক্রিন জুটি অভিনেতা রাহুল ব্যানার্জী এবং অভিনেত্রী রুকমা রায়। স্বভাবতই সব মিলিয়ে দর্শকের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। ধারাবাহিকের নায়ক, বিক্রম (রাহুল ব্যানার্জী) ‘লালকুঠি’ বাড়ির ছেলে। এই বাড়ি ঘিরেই অনেক বছর আগে ঘটে যায় এক নৃশংস দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনার রেশ পড়ে বিক্রমের বৈবাহিক জীবনেও। স্ত্রী অনামিকা (রুকমা রায়) অনবরত শিকার হতে থাকেন নানারকম আজগুবি কাণ্ডের। পরতে পরতে ঘনীভূত হতে থাকে রহস্য।
প্রথম থেকেই ধারাবাহিকটিকে ভৌতিক ধাঁচে উপস্থাপন করা হচ্ছিল। টানটান উত্তেজনার সঙ্গে দর্শক সাক্ষী হচ্ছিলেন ‘লালকুঠি’র সেই অভিশপ্ত অতীতের। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে, ভুত নয়, মানুষই রয়েছেন সব কিছুর পেছনে! আর সেই মানুষ ‘ভুত’টি হলেন বিক্রমের কিশোর বয়সের প্রেমিকা, ‘জিনি’।
প্রথম থেকেই পরিচালক জিনি চরিত্রটিকে নামে বা হালকা অবয়বে উপস্থিত রাখলেও, তাঁর মুখ কখনও দেখা যায়নি। কিন্তু এবার যখন বিক্রম উদ্যত হলেন জিনির খোঁজে, তখনই জিনি ধরা পড়েন। কিন্তু জিনিকে খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ ছিল না। আসল জিনি ছাড়া, বিক্রমের জীবনে উপস্থিত বর্তমান জীবনের সকল নারীই ছিলেন জিনি হিসেবে তাঁর সন্দেহের তালিকায়। আর সেখানে ছিলেন স্ত্রী অনামিকাও। কারণ জিনিকে বিক্রম ভালোবেসেছেন, এবং স্ত্রী অনামিকার প্রতিও অনুভব করেছেন মনের টান। জিনিকে শেষ দেখেন তিনি বারো বছর আগে। তাই ভেবেছেন জিনিই অনামিকার ছদ্মবেশে বিক্রমের জীবনে এসছেন। তাঁর ভাবনার সঙ্গে দর্শকও বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন, অনামিকাকেই সত্যি জিনি ভেবে! অনেকেই স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘মন ফাগুন’ এর সঙ্গে এই ধারাবাহিকের তুলনা করে বসেছিলেন, কারণ সেখানেও ছোটবেলার হারিয়ে যাওয়া প্রেম পূর্ণতা পেয়েছিল বড়বেলায়।
কিন্তু ‘লালকুঠি’ দিল সকলকে চমকে। অনামিকা নন, বরং জিনির চরিত্রে প্রবেশ ঘটল অন্য অভিনেত্রীর। ‘রাজযোটক’খ্যাত অনামিকা চক্রবর্তী হলেন বিক্রমের সেই হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা, জিনি! তাঁর উপস্থিতিতে দর্শকমহল যারপরনাই নড়েচড়ে বসেছেন। এত বড় চমকের জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। বিক্রমের সঙ্গে সকলে তাঁর স্ত্রী অনামিকাই আসল জিনি, সেটাই ঠাওরেছিলেন। আর এখানেই ‘লালকুঠি’ দেখালো আসল খেল। নতুন চরিত্রের আগমন ঘটিয়ে, কাহিনীর ঘটনাপ্রবাহকে করে তোলা হবে আরও জটিল। এখন খালি সময়ের অপেক্ষা, বিক্রমের অনুভূতি কার দিকে ঝুঁকবে, অনামিকা নাকি জিনি! তার জন্য প্রতিদিন চোখ রাখতে হবে জি বাংলার পর্দায়, রাত সাড়ে নটায়।