খুশির হাঁড়ি নিয়ে বছর কয়েক আগে ফেরি করতে এসেছিল দুষ্টু মিষ্টি এক গ্রামের সরল সাদা মেয়ে। নাম তার মিষ্টির মতই সুন্দর, মিঠাই! এক গ্রাম্য সরল মিষ্টি বিক্রেতা যুবতীর জীবনে কীভাবে আসেন শহুরে রাজপুত্তুর, কীভাবে শহরের নাম করা মিষ্টির দোকানের মালকিন হয়ে ওঠে এই মিঠাই, সেই নিয়েই আবর্তিত হয় জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক, ‘মিঠাই’ (Mithai)।
প্রথম থেকেই ‘মিঠাই’ তাঁর সারল্য দিয়ে মন জয় করে নেয় আট থেকে আশি প্রত্যেক বাঙালির। সন্ধ্যে হলেই এই ধারাবাহিকটি টিভির সামনে বসতে বাধ্য করত প্রত্যেক বাঙালি গৃহস্থকে। অন্যান্য ধারাবাহিকের মতই নানা জটিলতা দিয়ে সফলতার চূড়ায় পৌঁছত সকলের মধ্যমণি, প্রাণোচ্ছল এই মেয়েটি। বহুল জনপ্রিয়তার জন্য টিআরপি তালিকাতেও শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখত এই ‘মিঠাই’। কিন্তু একটা সময় নেমে আসে ভাটা। ধারাবাহিকের গল্পে অত্যধিক নাটকীয় মোড় আনতে গিয়ে, দর্শক একটা সময় খেই হারিয়ে ফেলেন। এমনকি দেখানো হয় ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্বয়ং মিঠাইয়ের। এর ফলে অধিকাংশ দর্শকই ধারাবাহিকের প্রতি কৌতুহল হারিয়ে ফেলেন। পরিবর্তিত হয় ধারাবাহিকের টাইম স্লটও।
মিঠাই নয়, বরং তাঁরই মত দেখতে এক যুবতীর আবির্ভাব ঘটে মিঠাইয়ের মৃত্যুর পর। তাঁর নাম মিঠি। মিঠাইয়ের মত হওয়ার দরুন অল্পদিনেই তাঁর সঙ্গে গল্প জমাট বাঁধে মিঠাইয়ের পরিবারের। এমনকি মিঠাইয়ের খুনের কিনারা করার জন্য মিঠাইয়ের স্বামী, সিদ্ধার্থের সঙ্গেও হাত মেলায় মিঠি। ‘মিঠাই’-প্রেমীদের ধারণা ছিল, হয়ত মিঠাইই মিঠির ছদ্মবেশে রয়েছে, তাই মিঠাইয়ের মত মিঠিকেও আপন করে নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রোমোয় দেখা যাচ্ছে, আসল মিঠাই সত্যিই ফিরে আসছে! এক পথ দুর্ঘটনায় আহত সিদ্ধার্থকে উদ্ধার করতে ঘটছে তাঁর উপস্থিতি। এই দৃশ্য দেখে কিছু দর্শক যেমন খুশি হয়েছেন, কিছু দর্শক বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, এই ধারাবাহিকে গল্পের গরুকে বড্ড বেশি গাছে উঠিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। মিঠি এবং মিঠাই একই রকম দেখতে দুই মানুষ কীভাবে একসঙ্গে থাকতে পারে? অনেকে আবার বলছেন মিঠাইকে না ফেরালেও হত, কারণ মিঠির উপস্থিতিই তাঁদের আনন্দ দেয়। সামাজিক মাধ্যমে তৈরি হয়েছে একাধিক বিরোধ। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। মিঠি না মিঠাই, তাঁরা কি সত্যিই আলাদা, নাকি এক? কীই বা হবে কার ভবিষ্যত, তার জন্য অবশ্যই চোখ রাখতে হবে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায়।